শুক্রবার, ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পটুয়াখালীতে মন্দির নিয়ে সংঘর্ষে দশমিনায় নিহত ১

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মন্দির নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই ভক্তগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক কৃষ্ণভক্তের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দিবাংসু হাওলাদার ওরফে কালু (৩০)। দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম নিশ্চিত করেছেন যে, মন্দির নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। উপজেলার গুলি আউলিয়াপুর গ্রামে ৩০ বছরের পুরোনো একটি কৃষ্ণমন্দির রয়েছে। সম্প্রতি মতুয়াভক্তরা ওই মন্দিরের পাশে একটি নতুন মন্দির স্থাপন করে পূজা-অর্চনা শুরু করেন। এ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কৃষ্ণমন্দিরে পূজা দিতে আসা মতুয়াভক্ত কৃষ্ণা রানী ও কৃষ্ণভক্ত লক্ষ্মী রানীর মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুই পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। পরদিন ১৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় পক্ষ।দুই দফার সংঘর্ষে আহত হন ২৫ জন। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মন্টু হাওলাদার (৪০), সন্তোষ হাওলাদার (৪৫), সজল হাওলাদার (৩৫), দিবাংসু হাওলাদার (৩০), স্বপন হাওলাদার (৪৫) ও তপন হাওলাদারকে (৩৫)। দিবাংসু হাওলাদারের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তিনি মারা যান। প্রশাসন থেকে বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনো পরিস্থিতি থমথমে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়