রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পঞ্চগড়ে নৌকা কর্মীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের উপর হামলার অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নৌকার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শালবাহান ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমের উপর ভজনপুর-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকায় হামলা করে পালিয়ে যান । হামলার পরপরই সেখানে আশরাফুল চেয়ারম্যানের লোকজন এবং স্বতন্ত্র ট্রাক মার্কার লোকজন এসে সড়ক অবরোধ করেন ।

পরে আধাঘন্টার পর তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী এবং তেঁতুলিয়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় চন্দ্র রায়ের সাথে থানা পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুলের সাথে আলোচনা করার পর অবরোধ তুলে নেন। বর্তমানে মাঝিপাড়া (শালবাহান রোড) এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে।

স্থানীয়রা জানান, শালবাহান রোড এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আসার সাথে সাথে নৌকার কর্মী ইমদাদুল ও আনোয়ার গালিগালাজ শুরু করলেই তিনজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের উপর দুজন মিলে হামলা করেন। তাৎক্ষনিক সেখান থেকে চেয়ারম্যান চলে যায়। পরে ওই এলাকার চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কার লোকজন এসে সড়ক অবরোধ করেন। এদিকে ইউএনও আসার পর অবরোধ তুলে নেন ট্রাক মার্কার লোকজন।

শালবাহান ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম জানান, আমি শালবাহান রোডে আসার সাথে সাথে আমাকে ইমদাদ ও আনোয়ায়ার নামে দুজন মাদকসেবী আমার উপর হামলা চালায় । আমি এই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে আইনি সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

এদিকে অবরোধের পর নৌকা মার্কার কর্মী ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল লতিফ তারিন শালবাহান রোড এলাকায় আসলে ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুলের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আশরাফুলের লোকজন তার উপর চড়াও হয়। পরে সেখান থেকে পুলিশ তারিনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার (ওসি) সুজয় কুমার রায় জানান, বিকেলে শালবাহান রোড এলাকায় ট্রাক ও নৌকা মার্কার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ইউপি চেয়ারম্যান স¦তন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কার লোকজন সড়ক অবরোধ করছেন। পরে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী এসে আলোচনার মাধ্যমে প্রায় আধাঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেন। এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

এবিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী জানান, অবরোধের খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। দু পক্ষই মোখিকভাবে পরস্পরের উপর হামলার অভিযোগ করছেন।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়