বুধবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নেপালের ১ রানের আক্ষেপ, বাংলাদেশের সুপার এইট প্রায় নিশ্চিত

সংবাদের আলো ডেস্ক: ভরপুর নাটকীয়তা শেষে তীরে এসে তরি ডুবল নেপালের। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ১ রানে হেরে ইতিহাস গড়া হলো না দলটির। এরই সঙ্গে আসর থেকেও বিদায় নিশ্চিত হলো এশিয়ার এই দেশের। রাউন্ড রবিন লিগের সব ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার এইটে খেলতে যাচ্ছে প্রোটিয়ারা। আর নেপালের এই হারে বাংলাদেশের সুপার এইটে খেলার পথ যেন আরও সহজ হল। এদিন আগে বোলিং বেছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১১৫ রানে আটকে রাখে নেপাল। রান তাড়ায় এক পর্যায়ে তাদের দরকার ছিলো ১৬ বলে ১৭, হাতে ৭ উইকেট। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর ওই সমীকরণ আর মেলেনি। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রান। গুলশান ঝা এক চার মারলেও হয়নি। শেষ বলে ২ রানের চাহিদায় বল মিস করেন তিনি। কিপারের হাতে রেখে রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন এই ব্যাটার। তাবরাইজ শামসির শেষ ওভারে মূলত খেলার মোড় ঘুরে যায়। ১৮তম ওভারে ২ রান দিয়ে তিনি আউট করেন দুই থিতু ব্যাটারকে। এরপর ১২ বলে ১৬ রানের সমীকরণে আনরিক নরকিয়ার ওভারে বোল্ড হন কুশল মাল্লাও। চাহিদা দাঁড়ায় ৮ বলে ১৬ রানে। ওই অবস্থান ক্রিজে আসা সোমপাল কামি নরকিয়াকে ছক্কায় উড়িয়ে খেলা আনেন, শেষ বলে নেন দুই রান। তারপর ওই শেষ ওভারের নাটকীয়তা। যা গ্যালারিতে উপস্থিত বেশ কিছু নেপালের দর্শককে দিল তীব্র যন্ত্রণা। সব কিছুর পর শেষ বলে খেলাটা অন্তত না হারা নেপালের হাতেই ছিলো। ওটানিল বার্টম্যানের বাউন্সার ব্যাটে লাগাতে পারেননি গুলশান। তবে কিপারের হাতে বল রেখেই তিনি দৌঁড় দেন। অপরপ্রান্তের ব্যাটার সোমপাল কামি ততক্ষণে ক্রিজে এসে গেছেন। গুলশান নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে যাওয়ার পথে কুইন্টেন ডি ককের মারা থ্রো তার পিঠে লাগে। তিনি কিছুটা থেমে যান। ওই বল পেয়ে রান আউট করে দেন হেনরিক ক্লাসেন। ১ রানে হেরে স্তব্ধ হয়ে মাঠে বসে থেকেন নেপালের দুই ব্যাটার। নেপালের এই হারে ইতোমধ্যেই তারা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম রাউন্ডের সব ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে গেছে।শুধু তাই নয়, নেপালের এই হারে গ্রুপ ‘ডি’ এর দুই দল ইতোমধ্যেই এলিমিনেট হয়েছে। এখন এই গ্রুপের বাকি দুটি দলের মধ্যে একটি দল যাবে সুপার এইটে। তবে এর মধ্যে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। কারণ নেদারল্যান্ডস রান রেটে পিছিয়ে রয়েছে টাইগারদের চেয়ে। আর কোনো কারণে যদি নেদারল্যান্ডসের সাথে শ্রীলঙ্কার ম্যাচ বাতিলও হয়, তবুও নেদারল্যান্ডস এর পয়েন্ট হবে ৩। আর বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ৩ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কাকে যদি ডাচরা হারিয়েও দেয় এবং নেপালের কাছে বাংলাদেশ হেরেও যায় তবুও রান রেটের দিক থেকে এগিয়ে থাকবে বলেই প্রত্যাশা বাংলাদেশের। আর এতে করে বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের সুপার এইট প্রায় নিশ্চিত। তবে আগামী ম্যাচে ১৭ জুন নেপালকে হারিয়েই সুপার এইট নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়