বুধবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নেত্রকোনায় রাস্তার পাশে ঝোপে মিলল জীবিত নবজাতক

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় রাস্তার পাশে ঝোপে মিলল জীবিত নবজাতক(মেয়ে)। স্হানীয় লোকজন উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবার সহযোগিতায় জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোনা পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের প্রাইমারি স্কুলের পাশে উলুয়াটি সড়কে একটি ঝোপের কাছে কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় সাইকেল আরোহী এক পথচারী। পথচারী স্থানীয়দের খবর দিলে, স্থানীয় রীনা আক্তার ও নুরুল ইসলাম গিয়ে উদ্ধার করেন নবজাতকটিকে।

পরে তারা মডেল থানায় খবর দিলে নারী ও শিশু ডেস্কের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক রাজিয়া আক্তার হাসপাতাল সমাজ সেবার সহযোগিতায় জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দুপুর থেকে নবজাতকের সার্বিক তত্বাবধানে নার্স আয়াসহ সকলেই আন্তরিকভাবে সেবা করছেন। কয়েক ঘন্টায় শিশুটিকে তারা প্রাথমিকভাবে সুস্থ করে তুলেছেন।

শিশু বিভাগের (নিবিড় পরিচর্যা ওয়ার্ড) ইনচার্জ মাসুমা আক্তার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আজকেই জন্ম নেয়ার পরপরই নাভি কেটে ফেলে দিয়েছে বললেন হাসপাতালের।

বাবা মায়ের নিষ্ঠুরতার বলি নবজাতককে পরম মমতায় নার্স আয়ারা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলছেন। এদিকে জন্মের সাথে সাথে পিতা মাতার এমন নিষ্ঠুর আচরণে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা চান দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি।

এদিকে শহর সমাজসেবার আওতায় নবজাতকের জন্য খাবার সহ সকল ধরনের খরচ বহন করে খাবার ও নানা কিছু জোগান দিচ্ছে হাসপাতাল সমাজসেবা।

হাসপাতাল সমাজসেবার দায়িত্বে থাকা মনির মিয়া জানান, সকল ধরনের শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে ঔষুধসহ সবকিছু সমাজসেবা বহন করছে। এমনকি সার্বক্ষণিক শিশুর তত্বাবধানে থাকছি আমরা।

রীনা আক্তার জানান, রাস্তায় ফেলে রাকা শিশুটিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক সাইকেল চালক দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করলল আমি এবং নুরুল ইসলাম চাচা দেখতে আসি। পরে আমি অসহায় বাচ্চাটিকে দেখে কোলে তুলে নেই। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে আমাকে সাথে যেতে বলে। তখন আমি শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে নার্সদের হাতে দিয়ে আসি।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সঞ্জুরা আক্তার নামের নারী জানান, এমন নারকীয় কাজ নিষ্ঠুর পাষন্ড মানুষ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। এদের বিচার আল্লায় করবে।

এদিকে নেত্রকোনা মডেল থানার নারী শিশু ডেস্ক ইনচার্জ রাজিয়া আক্তার জানান, তারা খবর পেয়েই ঘটনাস্থল থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করে আইনিভাবে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও এই শিশুর প্রকৃত বাবা মা কে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পাওয়া গেলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাশীম রেজা খান সরল জানান নবজাতক উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই দত্তক নিতে সন্তাহীন প্রায় ৩০ জনের মতো মৌখিক আবেদন জানিয়েছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়