সংবাদের আলো ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে মো. দ্বীন ইসলাম (২৩) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২০ জন। বৃহস্পতিবার (৬ জুন') রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. দ্বীন ইসলাম নাওড়া এলাকার মিল্লাত হোসেনের ছেলে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন একই এলাকার জাহিদ, সোহেল, শাহিন, আমিনুল, রাজীব, নাজমুল, জেসমিন, ওয়াসিম, ইভা ও সাখাওয়াত। তাদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কায়েতপাড়া এলাকায় জমির ব্যবসা ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে রঙধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তাঁর ভাই নব নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে স্থানীয় মোশাররফ হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। গত মঙ্গলবার মোশাররফ তার এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নিতে আসেন। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে ধাওয়া দিলে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাত থেকেই উত্তেজনা চলে নাওড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তখন পাল্টাপাল্টি ছোড়া গুলিতে আহত হন বেশ কয়েকজন।
সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দ্বীন ইসলাম। সে মোশাররফ হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে মোশাররফ হোসেনের মোবাইলে ফোন দিলে সাড়া পাওয়া যায়নি। নব নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গ্রামবাসীর সঙ্গে মোশাররফের লোকজনের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। আমি এলাকায় না থাকায় এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না। শুনতে পেয়েছি মোশাররফের এক লোক নাকি মারা গেছে।’ ঘটনার বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে রূপগঞ্জ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত ১২ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নাওড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.