নামাজ পড়তে গিয়ে উপার্জনের একমাত্র সম্বল অটোরিক্সা হারিয়ে দিশেহারা রুবেল মিয়া
সংবাদের আলো ডেস্ক: লালমনিরহাটের সদর উপজেলার হাড়ীভাঙ্গা মাজার মসজিদে জুম্মার নামাজ পরতে গিয়ে একমাত্র উপার্জনের সম্বল অটোরিক্সা হারিয়ে দিশেহারা, রুবেল মিয়া। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী রুবেল মিয়ার কিস্তিতে কেনা, উপার্জনে বাহন (অটোরিকশা) হারিয়ে ৫ সদস্যের পরিবারের মুখে তিন বেলা আহারও জুটাতে পারছেনা। জানা গেছে, শুক্রবার( ২৮ জুন) লালমনিরহাট শহরের হাড়িভাঙ্গা মাজার মসজিদের সামনে অটোরিকশা রেখে জুম্মার নামাজ আদায় করতে যান রুবেল। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখেন তার অটোরিকশাটি যেখানে রেখেছেন সেখানে আর নেই।অনেক খোঁজাখুঁজি করেও অটোরিকশা না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন রুবেল।পরে ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি সহ অন্যান্য সদস্যরা আশপাশের অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন লাভ হয়নি। রুবেল মিয়া লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নওদাবাস গ্রামের বাসিন্দা। এলাকাবাসী জানান, রুবেল অনেক ভালো ছেলে তিনি শত ব্যস্ততা আর অভাবেও থাকলে নামাজ বাদ দেননি কখনোই। রুবেলের মা আর ৩ সন্তান নিয়ে একই সাথে থাকেন। রুবেল জানান, আমার বাবা ছোট বেলায় দ্বিতীয় বিয়ে করে অনত্র বসবাসা করছেন। স্ত্রী প্রবাসী জীবন কাটিয়ে এসে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। আমি এখন তিন সন্তান ও অসুস্থ মাকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন পার করছি।এমন দুঃসময়ের বিত্তবান মানুষদের কাছে আবেদন তারা যেন আমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। রুবেলের অসুস্থ মা বলেন, আমার ছেলের কাম-কাজের একমাত্র পথ ওই রিকসা সেটাও হারিয়ে গেলো আমাদের এখন কিছুই নেই। কিস্তিতে নেওয়া অটো কেনার টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মজিদ মন্ডল জানান, রুবেলের কিস্তিতে অটোরিকশা টি কেনা, টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারেনি। অটোরিকশা হারিয়ে সে এখন নিঃস্ব। তিন সন্তান ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে খুবই কস্টে জীবন যাপন করছে। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করবো এবং পাশাপাশি আমি আহবান করব সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে হয়তো কমবে রুবেল ও তার পরিবার অনেক উপকৃত হবে। সূত্র: সময়ের কন্ঠস্বর
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।