নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে দলীয় আন্তর্কোন্দল দীর্ঘদিনের। ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর আসনটি শুন্য হয়। উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ট পুত্র শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু ও বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক এ্যাড. জামাল হোসেন মিয়। লাবু চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দিলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে এ্যাড. জামাল হোসেন মিয়া মাঠে থাকেন। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দের অনুরোধে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান এ্যাড জামাল হোসেন মিয়া।
উপনির্বাচনে শাহদাব আকবর লাবু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও আওয়ামীলীগের অাভ্যন্তরিন কোন্দল থেকেই যায়। সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মিয়া সরকারী চাকুরীতে যোগদানের ফলে সাধারণ সম্পাদক থেকে পদত্যাগ করেন। সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করায় জেলা আওয়ামীলীগ এ্যাড. জামাল হোসেন মিয়াকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের ঘোষণা করেন। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রাপ্তির পর এ্যাড. জামাল হোসেন মিয়া বিএনপি ও জামাতের নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ সভার আয়োজন করেন।
অন্যদিকে সংসদ সদস্য লাবু চৌধুরীর অনুসারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুস সোবহান মিয়া স্বাক্ষরিত উক্ত সভার বিপরীতে আচর বিধি লঙ্গনের পরিপেক্ষিতে জেলা কমিটি বরাবর একটা চিঠি দেন।
একদিকে জামাল মিয়ার সমর্থকরা সভা সফল করার প্রস্তুতি নেন অন্যদিকে তা প্রতিহত করতে সকাল হতেই সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর সমর্থকরা দলীয় কার্যলয় অবস্থান নেন। এসময় লাবু চৌধুরীর অনুসারীরা নগরকান্দা বাজারে প্রবেশের বেইলি ব্রীজে গাছের ডাল ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখে। বিকাল ৩ টার দিকে জামাল হোসেন মিয়া ও তার সমর্থকেরা সহস্রাধীক নেতাকর্মী নিয়ে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করলে সংসদ সদস্যের সমর্থকেরা দলীয় কার্যালয়সহ আশপাশে থাকা লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এ্যাড জামাল হোসেন মিয়া ও তার সমর্থকেরা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। দলীয় কার্যালয় অবস্থান নেওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সংসদ সদস্য লাবু চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হিংসা প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আজকের পর থেকে কোন রকম নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে আপনাকে নগরকান্দার মাটি থেকে চিরতরে বিতারিত করা হবে।
এ বিষয় নগরকান্দা-সালথা সার্কেল আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দলীয় কার্যালয় অবস্থান নিয়েছে, আমরা দুপক্ষকে ছত্রবঙ্গ করতে শর্টগানের গুলি ছুড়েছি।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.