স্টাফ রিপোর্টার: মুজিব বর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কার্যক্রমের ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে দেশের আরো ২২ হাজার ১১০ টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান হস্তান্তর উপলক্ষে পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে বুধবার সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, পঞ্চগড় জেলায় চার হাজার ৮৫০ টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান হস্তান্তর কার্যক্রম শেষ হয়েছে। গত বছরের ২১ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রথম জেলা হিসেবে পঞ্চগড় জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আশ্রয়নের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ সকল বিষয়ে উন্নয়নের জন্য জেলা- উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। নানামুখী উদ্যোগের ফলে তাদের জীবনযাত্রা বদলে গেছে। তাদের কর্মমূখী প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়েছে। তাদের সন্তানরা এখন স্কুল-কলেজে যায়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষ, খাদ্য পাবে,আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে জাফিরউদ্দিন ও আহম্মদ আলী নামে দুইজন উপকারভোগী বক্তব্যে বলেন, ‘‘আমরা কল্পনাও করিনি যে নিজে জমির মালিক হয়ে এমন বাড়িতে থাকতে পারবো। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর দীঘার্য়ু কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার হোসেন, মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায় ও সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ বক্তব্য দেন।
পরে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন দর্শকরা। এ সময় উপজেলা পযার্য়ের কর্মকতার্, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, উপকারভোগী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.