দুর্নীতির মামলায় তিন প্রোটিয়া ক্রিকেটার গ্রেফতার
সংবাদের আলো ডেস্ক:শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, এক সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা বোলার ছিলেন লনওয়াবো সতসবে। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন তিনি। তবে এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। তার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার থামি সোলেকিল ও এলি এমবালাতিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নির্মূল আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফিক্সিং–চেষ্টার কারণে যে ৭ ক্রিকেটারকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সেই তালিকায় ছিলেন এই তিন ক্রিকেটার। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়েছে, গ্রেফতার তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার ২০০৪ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নির্মূল আইনের অধীনে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। যে ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেটি খেলাধুলায় দুর্নীতিবিষয়ক কর্মকাণ্ডসম্পর্কিত। আইনটি করা হয়েছিল ২০০০ সালে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। আইনটি প্রচলনের পর খেলোয়াড়দের মধ্যে সতসবে, সোলেকিল ও এমবালাতিই প্রথম অভিযুক্ত হলেন।তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশের বিশেষ শাখা ডিপিসিআইয়ের (ডিরেক্টরেট ফর প্রায়োরিটি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে। সতসবেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো ২০১৫–১৬ রাম স্ল্যাম চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্ট ঘিরে। অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা ফিক্সিং–চেষ্টার দায়ে ৭ জনকে শাস্তি দিয়েছিল। তাদের মধ্যে গুলাম বদি আগেই কারাভোগ করেছেন। আর জিন মিমেস এবং পুমি মাতশিকিওয়ে ২০২১ ও ২০২১২ সালে অপরাধ স্বীকার করায় শাস্তি স্থগিত করা হয়েছে।
সতসবে, সোলেকিল ও এমবালাতির নিষেধাজ্ঞার সাজা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা আছে। সপ্তম ক্রিকেটার আলভিরো পিটারসেনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা বিস্তারিত জানা যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৬১ ওয়ানডে, ২৩ টি–টোয়েন্টি ও ৫ টেস্ট খেলা সতসবে সবশেষ খেলেছেন ২০১৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের মে পর্যন্ত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর বোলার ছিলেন সতসবে। আর থামি সোলেকিল প্রোটিয়াদের হয়ে খেলেছেন তিনটি টেস্ট।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।