দিনাজপুরে একসঙ্গে ২০ হাজার কণ্ঠে হলো গীতা পাঠ
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের কাহারোলে ২০ হাজার মানুষের কণ্ঠে হয় গীতা পাঠ। দেশের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেন হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রংপুর বিভাগীয় পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শিক্ষাদান সংঘের আয়োজনে হয় এই গীতা পাঠ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। উদ্বোধনকালে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
বৈচিত্র্যের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেই দেশের ঐক্যের প্রেরণা নিশ্চিত করে। এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই চেতনাকে ধারণ করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি এবং যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব শান্তি কামনায় এবং বৈদিক সনাতনী পরম্পরা জাগরণে বিংশতি (২০) সহস্রাধিক কণ্ঠে পবিত্র ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ’ এর আয়োজন করা হয়েছে। ২০ হাজার কণ্ঠে পবিত্র গ্রন্থ পাঠ তাদের জীবনে পাওয়া অনন্য এক অভিজ্ঞতা।
এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের আয়োজন সহযোগীতার জন্য এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান তারা। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা জানান, হিন্দুদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র ও পৌরাণিক ধর্মগ্রন্থ হলো গীতা। এই গীতাকেই শ্রীমদ্ভগবত গীতা হিসেবেও চেনেন। গীতা পাঠ ও শ্রবণের জেরে একজন মানুষের গোটা জীবনই বদলে যেতে পারে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, ভারতের বিবেকানন্দ মিশন শান্তিনিকেতনের অধ্যক্ষ ড. শ্রী মানস ভট্টাচার্য, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ও সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন শীল ঘোষাল, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও রাজনীতিবিদ কালিপদ মজুমদার, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক তুষার রঞ্জন রায়।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।