শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তীব্র গরমে মরে ভেসে উঠল ২০০ মেট্রিক মাছ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই তাপদাহের মাঝে ভিয়েতনামের ডং নাই প্রদেশের একটি জলাধারে লাখ লাখ মাছ মরে ভেসে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যম বলছে, চরম তাপদাহ ও জলাশয়ের অব্যবস্থাপনাই লাখ লাখ মাছের মৃত্যুর জন্য দায়ী। সূত্র: এএফপি। তীব্র তাপদাহের কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। এই অঞ্চলের দেশগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব দেশের মতো-ভিয়েতনামের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলও ধ্বংসাত্মক তাপদাহে পুড়ছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির ত্রাং বোম জেলার স্থানীয় বাসিন্দা এনঘিয়া বলেন, ‌‌সং মে জলাশয়ের সব মাছ তীব্র গরমে ও পানির অভাবে মারা গেছে।

গত ১০ দিন ধরে গন্ধের কারণে আমাদের জীবন তছনছ হয়ে গেছে। ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দারা ৩০০ হেক্টর আয়তনের সং মে জলাধারের মাঝে নৌকায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন; যেখানে মৃত মাছের ভারী স্তরের নিচে পানি দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি। জলাধারে যে পরিমাণ পানি ছিল তা মাছের বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এনঘিয়া বলেন, জলাশয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এর আগে ফসল রক্ষা করার জন্য সেখান থেকে পানি নিষ্কাশন করেছিল।

তিনি বলেন, ‘‘তারপর তারা জলাধারটি মেরামত করার চেষ্টা করে। জলাশয় কাদা তুলে ফেলার জন্য সেখানে মেশিন বসানো হয়।’’ কর্তৃপক্ষ জলাশয়ে মাছের জন্য বেশি পানি ও জায়গা করার চেষ্টা করলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এই ঘটনার পরপরই অনেক মাছ মারা যায়। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, মৃত মাছের পরিমাণ দুই শতাধিক মেট্রিক টন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির স্থানীয় পত্রিকা তুওই ত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে জলাশয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থা খনন কাজ শুরু করেছিল। প্রাথমিকভাবে মাছের জন্য জলাশয়ে অতিরিক্ত পানি ছাড়ার পরিকল্পনাও করেছিল সংস্থাটি।

কিন্তু টানা তাপপ্রবাহের কারণে বিনিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ নিচু এলাকায় পানি ছেড়ে দেয়। যার ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। যে কারণে জলাশয়ের মাছ ব্যাপক হারে মারা গেছে।’’ ওই জলাধারটি ডং নাই প্রদেশের ত্রাং বোম এবং ভিন কু জেলায় ফসল চাষাবাদের পানির অন্যতম প্রধান উৎস। কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। একই সঙ্গে জলাধার থেকে মৃত মাছ দ্রুত অপসারণের কাজ করছে। এনঘিয়া বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি, পরিস্থিতির উত্তোরণে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাবে কর্তৃপক্ষ।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়