তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অঝরে কাঁদলেন তুষির সহপাঠী অর্পিতা সূত্রধর, কাকণ ঘোষ, জয়িতা ঘোষ, মাহি আরো কাঁদলেন শিক্ষক আনিসুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আলী হাসান। মূলত গত শনিবার রাতে ঘাতকের হাতে বাবা মা সহ নিহত তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী পারমিতা সরকার তুষির হত্যাকারী রাজিব ভৌমিকের ফাঁসির দাবীতে করা মানব বন্ধন কর্মসূচীটিতে কান্নার রোল পরে যায়। শিক্ষক শিক্ষার্থী উপস্থিত লোকজন তুষির সহপাঠিদের স্মৃতিচারণ শুনে কেঁদে ফেলেন।
নিহতরা হলেন তাড়াশ পৌর এলাকার কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তাঁর স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার(৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)। গতকাল ৩১ (ডিসেম্বর) বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল বিপিএম পিপিএম বার প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ ১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্কুল ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি ও তাঁর বাবা মায়ের হত্যাকারী রাজিব ভৌমিকের ফাঁসীর দাবীতে মানব বন্ধন করেছেন তুষির সহপাঠী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ।সকালে উপজেলার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইট থেকে মানববন্ধনটি প্রায় এলাকার কোয়াটার কিলোমিটার বিস্তৃত হয়। মানব বন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মরত সকল শিক্ষক অংশ নেন ।
এ সময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ঘাতক রাজিব ভৌমিকের মৃত্যুদন্ড চেয়ে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করে প্রতিবাদ করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেওয়ার সময় তুষির হত্যাকারীকে দ্রুততম সময়ে সনাক্ত করায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি দ্রুত বিচার শেষে ঘাতক রাজিব ভৌমিকের ফাঁসি দাবী করেন তারা। মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী হাসান, সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম, আফরোজা খাতুন, রনজু খাতুন, আনিছুর রহমান, শিক্ষার্থী অর্পিতা সূত্রধর, কাকণ ঘোষ, জয়িতা ঘোষ, মাহি প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর শহরের বারোয়ারী বটতলা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে একই পরিবারের স্বামী বিকাশ সরকার, স্ত্রী স্বর্ণা সরকার ও তাদের মেয়ের পারমিতা সরকার তুষি (তিন জনের) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি তিন মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ওইদিন রাতেই স্বর্ণা সরকারের বড় ভাই সুকমল চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উৎঘাটন করেন পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি পুলিশ এবং বিজ্ঞ আদালতের নিকট হত্যার সাথে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।