জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপার্টার: উত্তরের নেমে আসা ঢলে টাঙ্গাইলের সব নদীর পানি দিন দিন বাড়লেও এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লও জেলায় বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে টাপাউবো।
জানাগেছে, ভৌগলিক দিক থেকে ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যা-খরা, শীত ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেকটা সেফ জোন হিসেবে পরিচিত জেলা টাঙ্গাইল। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত জেলার নদীগুলোর পানি প্রতিদিন বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে কোন কোন নদীতীর ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সূত্রমতে, জেলার যমুনা নদীর পানি পাড়াবাড়ী পয়েণ্টে ৯ দশমিক শূণ্য ২ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৭৪ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বংশাই নদীর পানি মির্জাপুরের বংশাইঘাট পয়েণ্টে ৫ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৩৬ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে, বাসাইলের কাউলজানী পয়েণ্টে ৭ দশমিক ৪৩ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮২ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে, মধুপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুল পয়েণ্টে ৯ দশমিক ১০ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪ দশমিক ১৪ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীর পানি দেলদুয়ারের এলাসিন ব্রিজ পয়েণ্টে ৬ দশমিক ৮২ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬০ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে ও ঝিনাই (নিউ ধলেশ্বরী) নদীর পানি জোকারচরের টিকুরিয়া প্রাইমারি স্কুল পয়েণ্টে ৮ দশমিক ২৮ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩ দশমিক শূণ্য ১ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং ফটিকজানী নদীর পানি নলছাপা পয়েণ্টে ৮ দশমিক ৮৮ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩ দশমিক শূণ্য ৮ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সূত্রে জানায়, জেলার লহজং নদীর যুগনী পয়েণ্টের পরিমাপ মিটার এবং ফটিকজানী নদীর ভূঞাপুর রগুলেটর পয়েণ্টের পরিমাপ মিটার পাউবো সাময়িকভাবে বন্ধ করে রেখেছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (টাপাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাত হোসেন জানান, জেলার সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরের ঢল সাধারণত ক্ষণস্থায়ী হয়ে থাকে, তাই পানি বৃদ্ধি পেলেও বন্যার আশঙ্কা নেই। নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিমুহূর্ত পর্যবক্ষণ করা হচ্ছে। জেলার কোন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিলে তারা জরুরি সেবা হিসেবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.