টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক মুখামুখি সংঘর্ষ নিহত ৪ আহত ২৩
জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে কালিহাতী উপজেলার শোলাকুড়া নামক স্থানে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টাবর) গভীর রাতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার জন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত দুই জন হচ্ছেন- টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মহিষ বায়ান গ্রামের মৃত আ. ওয়াজেদের ছেলে জিয়াউল (৩৫)। অন্য দুজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ নান্নু খান স্থানীয়দের বরাতে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইল হয়ে ময়মনসিংহগামী ক্রাউন ডিলাক্সের একটি বাস টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের শোলাকুড়া নামক স্থানে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি মালবাহী ট্রাকের মুখামুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় বাসটি পাশের খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুই ব্যক্তি নিহত এবং ২৫ যাত্রী আহত হন। সংঘর্ষের খবর স্থানীয় লোকজন, কালিহাতী ফায়ার সার্ভিস এবং এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আহত ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুই জন মারা যান। আহত ২৩ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে পাওয়া আহতরা হচ্ছেন- ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার সয়দপুর গ্রামের মোবারকের ছেলে মনু মিয়া (২০), একই গ্রামের শেখ কলিম উদ্দিনের ছেলে রোহান উদ্দিন (১৮), জামালপুর সদর উপজেলার কান্দাইল গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে আসাদ (৩৬), একই জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার বোউমি গ্রামের মো. সোমের আলীর ছেলে রফিক (৩৫), একই উপজেলার কুচুলিয়া গ্রামের ফজলের ছেলে মো. সাগর (২৫), একই গ্রামের ওয়াজউদ্দিনের ছেলে সোলায়মান (৪০), মাদারগঞ্জ উপজেলার বেড়ামাটি গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মশিউর (৩৫), একই জেলার মাদারগঞ্জ সদর উপজেলার মজিবরের ছেলে নুরনবী (২৫), সরিষাবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ী গ্রামের সাগরের স্ত্রী রাজিয়া (৩০), বগুড়া জেলার সারিয়াকাদি উপজেলার ছোনপচা গ্রামের খায়রুলের ছেলে মাজদ (৩০), টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ফয়েজপুর গ্রামের মৃত তুফান শেখের ছেলে ময়নাল শেখ (৬০), একই উপজেলার বিহালী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জসিম উদ্দিন (৪০), একই জেলার ধনবাড়ী উপজেলা সদরের ধনবাড়ী গ্রামের মৃত জুলহাস উদ্দিনের ছেলে সেলিম (৪০), ঘাটাইল উপজেলার নলনা গ্রামের আ. বারেকের ছেলে খোকন (৩৫)। এছাড়া খলিলের ছেলে নাজির (২৮), রাজ্জাক (৩০), দুর্ঘটনা কবলিত ক্রাউন ডিলাক্স গাড়ির চালকও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্য চারজন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ায় তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ওই দুর্ঘটনার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক এলঙ্গা থেকে সল্লা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (৪ অক্টাবর) সকালে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি রেকার দিয়ে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ নান্নু খান জানান, নিহতদের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিচয় পাওয়া সাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।