বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মে দিবসে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধ্য করানোর অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: ‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বুধবার (১ মে) মহান মে দিবস অর্থাৎ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হলেও টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটি সরকারি প্রকল্পে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের ‘মাদারগঞ্জ-কয়ড়া-মনসুর নগর (কাজিপুর)-আব্দুল্লাহ মোড় (সরিষাবাড়ী)-ধনবাড়ী সড়ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের কেন্দুয়া এলাকার ঝিনাই নদীর উপরে নির্মিত সংযোগ সেতুর দুই পারের কাজে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়।

সেতু নির্মাণের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাজধানীর গুলশানস্থ মাসুদ হাইটেক কোম্পানি মহান মে দিবসে কাজ বন্ধ না রেখে শ্রমিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছে। ওই সেতু নির্মাণ কাজের শ্রমিক আব্দুল খালেক, জুয়েল রানা, ইদ্রিস আলীসহ অনেকে জানায়, মহান মে দিবসে শ্রমিকদের ছুটির দিনে তাদেরকে কাজে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার আরিফ হোসেন তাদেরকে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছেন। ম্যানেজার আরিফ হোসেন জানান, সরকারি কাজে আবার কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে নাকি? মে দিবসের সরকারি ছুটির দিনে শ্রমিকদের কাজ করাতে চাপ প্রয়োগের বিষয়ে তিনি জানান, তাদের এ সেতুর কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার তাগিদ থেকে তাদেরকে কাজে আসতে বলা হয়েছে। এর বাইরে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের মধুপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ জানান, দীর্ঘদিন জমির মালিকদের সাথে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কাজটি বন্ধ ছিল। জুন মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ করতে হবে বিধায় মে দিবসেও শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় শরীফ আহম্মেদ, জুবায়ের, হাসান, কামালসহ এলাকার অনেকেই জানায়, এ সেতু নির্মাণে নানা অনিয়ম করা হয়েছে। মহান মে দিবসে অর্থাৎ বিশ্ব শ্রমিক দিবসেও শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।

এদিকে, ওই সেতু সংলগ্ন জমির মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঝিনাই নদীর উপরে সংযোগ সেতু নির্মিত হচ্ছে। তার ৪৮ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করায় ছেড়ে দিতে হয়েছে। তার অভিযোগ, ৭ ধারার একটি নোর্টিশ দেওয়ার পর অধিগ্রহণের টাকা না দিয়েই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শেষ করছে। জমির অন্য মালিকদেরও একই অবস্থা। কেউ জমির মূল্য পায়নি। জমির মালিক রফিকুল ইসলাম ভূট্টু, সোহেল রানা, রফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান পলাশসহ অন্যরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, তিন ফসলী জমি নষ্ট করে আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করা হচ্ছে। সেতু নির্মিত হলে তারা অধিগ্রহণের টাকা পাবেন না বলে ধারণা করছেন।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়