জয়পুরহাটে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা
নিজস্ব প্রতিবেদক: জয়পুরহাটে একটি মহিলা মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন আজিজুল হক ফেন্সি (৫৭) তিনি জেলা শহরের বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা ও হযরত ফাতেমা (র.) কওমি হাফেজিয়া মহিলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জেলা শহরের কাশিয়াবাড়ির হযরত ফাতেমা (র.) কওমি হাফেজিয়া মহিলা মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির পড়াশুনা করতেন নওগাঁর এক মহিলা শিক্ষার্থী। ঈদের ছুটি হলেও মাদরাসাতে মাসিক বেতন বকেয়া থাকায় ওই শিক্ষার্থীকে ছুটি দেয়া হয়নি প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক ফেন্সি।
ঈদের ছুটির সময়ে ওই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে রোববার মেয়েটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসময় তার বান্ধবীর পরিবারের সদস্যদের নিকটে ধর্ষণের বিষয় জানান। পরে তারা তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রীকে জয়পুরহাট থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে আজিজুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’ ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বলেন, ‘মাদ্রাসার মাসিক বেতনের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারেনি পরিবার।
এই জন্য মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক ফেন্সি আমাকে বাড়িতে যেতে দেয়নি। পরে তিনি আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি তাকে বাবা ডেকেও রেহাই পাইনি। একপর্যায়ে রোববার সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে আমার এক বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। এ ঘটনার সুস্থ বিচার চাই।’ গ্রেপ্তার আগ মুহূর্তে আজিজুল হক ফেন্সি বলেন, তার ভুল হয়েছে। আবারও কখনও বলে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি’) হুমায়ুন কবির বলেন, ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক ফেন্সি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।