বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

সংবাদের আলো ডেস্ক:সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় আপিলের শর্ত অনুযায়ী আত্মসমর্পণের পরে জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর)  ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত তার এ জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এদিন তার পক্ষে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবী। আদালত আপিল গ্রহণ করেন। আপিল শুনানির জন্য পরে তারিখ দেওয়া হবে বলে আদালত জানান।এ বিষয়ে শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, আপিলের শর্তে শফিক রেহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আপিল গ্রহণ করে তার জামিন মঞ্জুর করেন। আপিল শুনানির পরে তারিখ দেবেন।এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে এ সাজা স্থগিতের আদেশ দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা।গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান  ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত।গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে এ মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।গত ৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট মাহমুদুর রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এক ধারায় পাঁচ বছর আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।রায়ে আদালত অপহরণ চেষ্টার দায়ে আসামিদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি হত্যার ষড়যন্ত্র করায় আসামিদের দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছিলেন বিচারক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন।২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----