জামায়াতের কার্যালয় থেকে ককটেলসহ জঙ্গি প্রশিক্ষণের বই উদ্ধার
সংবাদের আলো ডেস্ক: ফরিদপুরে জামায়াতের জেলা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ১২টি ককটেল বোমাসহ বেশকিছু নথিপত্র ও উস্কানিমূলক বই উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের চকবাজার জামে মসজিদ মার্কেটের চতুর্থ তলায় অবস্থিত কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম জানিয়েছেন, এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে একটি নাশকতার মামলায় তাকদীর হোসেন নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পুলিশের একটি টিম কার্যালয়ে প্রবেশ করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানো হয়। এ সময় তারা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ও আলমিরা ভেঙে তল্লাশি চালায়। একপর্যায়ে একটি কক্ষে কাগজের কার্টন থেকে ৭টি এবং ওই মার্কেটের ছাদে উঠার সিঁড়ির উপর চিলেকোঠার পাশ থেকে খোলা জায়গায় রাখা ৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জামায়াত কার্যালয়ের আলমারি ও সেলফে রাখা বিভিন্ন ফাইল ও কাগজপত্রসহ কিছু বই জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ফরিদপুর জেলা কার্যালয় থেকে ফরিদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে জামায়াতের বড় একটি অংশ পরিচালনা করা হয়। তারা এখানে একত্রিত হয়ে নিয়মিত মিটিং ও কর্মীসভা করে থাকে। এখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণের অনেক বইও পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তারা এখানে বসে ফরিদপুরসহ ঢাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিষদ তদন্ত এবং মামলা করবো। যেগুলো নিষিদ্ধ রয়েছে তা জব্দ করে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে। এছাড়া এই কার্যক্রমের সঙ্গে যারা জড়িত প্রত্যেককেই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান হাসানসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা।
এ ব্যাপারে জানতে জামায়তের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা বদরউদ্দিনের মোবাইলে কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।