জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ইট-পাথরের আঘাতে পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানসহ ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য এবং অন্তত শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহষ্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে জেলা শহরের গেটপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হলেও বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সংবাদ সংগ্রহকালে একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মামুন আনছারি সুমন, ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম নিরব, এন টিভির জেলা প্রতিনিধি আসমাউল আসিব, দেশ টিভির মেহেদী হাসান, চ্যানেল এস সাংবাদিক শামিম হোসেন, সহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয় আন্দোলনকারীরা। তারা সাংবাদিকদের ক্যামেরা নিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেয়।
এরআগে সকাল থেকে কোটা সংস্কার এবং সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্নস্থান থেকে জড়ো হয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে স্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয়।
দুপুর ১২টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন জংশনে দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন অবরোধ করে রাখে। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান নেয় এবং শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় অন্তত ২০ জন আন্দোলনকারী আহত হন। জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসেন সাংবাদিকদের
জানান, আন্দোলনকারীরা অতর্কিত ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা চালায়। এতে জামালপুর পুলিশ সুপারসহ ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.