জামালপুরের মেলান্দহে বন্যার পানিতে ডুবে চার জনের মৃত্যু
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুচর এলাকায় বন্যার পানিতে গোসল করতে নেমে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।পানিতে ডুবে মৃতরা হলো— বালুরচর গ্রামের মো. সবুজের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৫), মো. আহালুর মেয়ে দিশা মনি (১৮), গোলাপ উদ্দিনের মেয়ে খাদিজা আক্তার (১০) ও মো. বাবুলের স্ত্রী রোকশানারা বেগম (৩০)। এছাড়া মারিয়া (১২) নামে এক শিশু বেঁচে ফিরছে। তারা সবাই প্রতিবেশী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে তিন শিশু, এক কিশোরী ও এক গৃহবধূ বন্যার পানিতে গোসল করতে যান ফসলি জমিতে। গোসল করার একপর্যায়ে হঠাৎ করেই দুই শিশু, কিশোরী ও গৃহবধূ পানিতে তলিয়ে যেতে থাকেন। দূরে থাকা এক কিশোরী তাদের তলিয়ে যাওয়া দেখে দৌড়ে বাড়িতে এসে ডাক চিৎকার করে খবর দেন। খবর পেয়ে লোকজন সেখানে গিয়ে দেখেন সাদিয়া ও দিশা মনির মরদেহ পানিতে ভেসে উঠেছে। তাদেরকে সেখান থেকে তুলে দ্রুত মেলান্দহ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে দিশা মনি মেলান্দহের জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পরে ঘটনাস্থলের কাছেই খাদিজা আক্তার ও রোকশানারা বেগমের মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা।
স্থানীয়রা জানান, সবাই অল্প পানিতেই গোসল করতে নেমেছিল। এভাবে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা একেবারে আশ্চর্যজনক। এর মধ্যে আসছে শুক্রবার দিশা মনির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ঘটনা সত্যি। পানিতে ডুবেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনায় নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মেলান্দহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. মাহতাব উদ্দিন জানান, বিকেল ৬টার দিকে সাদিয়া ও দিশা মনিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাজু আহাম্মদ বলেন, রবিবার বিকালে বাড়ীর পাশে ডুবায় গোসল করতে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।