জাতীয় দল থেকে জাতীয় দলে আর খেলছি না: তামিম
সংবাদের আলো ডেস্ক: ২০২৩ সালে আকস্মিকভাবে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। তবে দুই দিন পার না হতেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে খেলে বিশ্রামে যান তিনি। নানা নাটকীয়তার পর ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তামিমের। এরপরই সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তামিমের দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। তারপরে আর কখনোই জাতীয় দলে দেখা যায়নি তামিমকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা গেলেও জাতীয় দলে তামিমকে আর দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। তবে জাতীয় দল থেকে দূরে থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তামিম ইকবাল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত বছর নেতৃত্ব দিয়ে ফরচুন বরিশালকে প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন। খেলেছেন ডিপিএল এবং এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও। চলতি বিপিএলেও ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামিম ইকবাল। ব্যাপক ক্রিকেট উদ্দীপনা-উন্মাদনার মধ্য দিয়ে বিপিএলের একাদশতম আসর মাঠে গড়িয়েছে। ৫০ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টের অংশ নিয়ে দেশের বাহিরে থেকেও এসেছেন ক্রিকেটাররা। বিপিএলের খেলার মাঝেই আড্ডায় মাতেন সাবেক পাকিস্তানি তারকা শহীদ আফ্রিদি, আফগানিস্তান তারকা মোহাম্মদ নবী ও তামিম ইকবালসহ বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার। সেই আড্ডাতেই বাংলাদেশের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে সাবেক পাকিস্তান তারকাকে মত জানান তামিম।নৈশভোজে খাওয়ার সময় আফ্রিদি তামিমের কাছে জানতে চান, ‘তামিম, তুমি কি পুরোপুরি অবসর নিয়ে ফেললে? শেষ?’ পাশে একটি চেয়ারে বসে তামিম তখন ব্যাট নাড়াচাড়া করছেন। আফ্রিদির প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, ‘জাতীয় দল থেকে… জাতীয় দলে আর খেলছি না।’ তবে তামিম তার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনও বিসিবিকে জানাননি। তাই এটিই যে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না! এ সময় আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীও তার অবসর পরিকল্পনা জানান। তিনি বলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ওয়ানডে থেকে অবসর নেবেন, এরপর শুধু টি-টোয়েন্টিই খেলবেন। এ সময় মজার ছলে আফ্রিদি বলেন, এখনও তো তরুণ তুমি, খেলতে থাকো, অবসর নেওয়ার কী প্রয়োজন। তাহলে ২০২৩ বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ওই ওয়ানডেই তামিম ইকবালের ‘শেষ’ হয়ে রইল! এরপর থেকে নানা কারণে জাতীয় দলের বাইরে আছেন তিনি। আর ফেরার সম্ভাবনাও নেই। বিষয়টা তামিম নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, যা প্রকাশ পেয়েছে আজ। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ সম্প্রতি জানিয়েছিলেন যে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দুজনই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’, যেহেতু দুজনেই অবসরের ঘোষণা দেননি। শুক্রবারও ফারুক একই ভিত্তি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব ও তামিকে পাওয়ার চেষ্টার কথা জানান।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।