জমি নিয়ে ভাই-বোনদের দ্বন্দ্ব, আদালতের রায়ের পর জমি বুঝিয়ে দিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম রকিবুল হাসান
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার হরিণা বাগবাটিতে পিতৃত্ব সম্পদ বন্টন নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত দুই ভাই ও চার বোনদেরমাঝে দ্বন্দ ও বিরোধ চলে আসছিল। অবশেষে আদালতের রায়ে দীর্ঘদিন পর নিজেদের জমি ফিরে পেলেন মোছা: হাসিনা বেগম গং ও তার তিন বোন শাহানা খাতুন,রেহানা খাতুন ও রেখা খাতুন। পিতার রেখে যাওয়া জায়গা জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিলো তার আপন দুই ভাই আশরাফুল আলম ও আলমাহমুদ।শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল দশটায় আদালতের নির্দেশে প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতে নিজের জায়গা বুঝে নেন চার বোন এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতের পক্ষে নাজির শেখ উসমান হায়দারের নাজির উপস্থিত থেকে স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিতার রেখে যাওয়া বাড়ি ও জমি মিলে মোট ৯৬ ডিসিমাল জায়গার মাধ্যে অংশিদারত্ব হিসেবে দুই ভাই পায় ৪৮ ডিসিমাল আর বাকী ৪ ডিসিমাল পাবে বোনেরা। কিন্তু বোনদের সম্পত্তি ভাইরা বুঝিয়ে না দিয়ে নানাভাবে টালবাহানা করতে থাকে। পরে উপায় না পেয়ে ২০১৯ সালে প্রাপ্ত ৪৮ ডিসিমাল জায়গা নিয়ে ভাই আশরাফুল ইসলাম গং বিরুদ্ধে মোছা: হাসিনা বেগম গং মামলা দায়ের করেন।
পরে দীর্ঘদিন পর আইনি লড়াই শেষে ২০২৩ সালে মামলার রায় পান। এরপর মামলা নিষ্পত্তি হবার পর আদালত তাদের পাপ্য জায়গা বুঝে দেবার জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তাদের জায়গা বুঝে দেয়। এ বিষয়ে হাসিনা বেগম ও রেখা খাতুন জানান,অবশেষে সত্যের জয় হয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা বুঝে পেয়েছি।
এ সময় সিরাজগঞ্জ সদর সহকারী কমিশনার ভূমি ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রকিবুল হাসান, জেলা জজ আদালতের নাজির শেখ উসমান রায়হান,এস আই মোমিনসহ পুলিশের অন্যন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।