খালেক পারভেজ লালু, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
উলিপুর উপজেলার খামার মধ্যপাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ঘটনায় সহকারী শিক্ষক মেহেদী হাসান ও ওই সহকারী শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত রবিবার (২১ জানুয়ারি) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়, খামার মধ্যপাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার সাথে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মেহেদী হাসানের অনৈতিক কাজের অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'ফেসবুকে' প্রচারিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে বর্ণিত দুই শিক্ষককে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ জারীর তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলেও নবেজ উদ্দিন সরকার স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমির হোসেন বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ পেয়ে দুই শিক্ষককেই জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, অভিযুক্ত দুই শিক্ষককেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ জানুয়ারি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের খামার বজরা মধ্যপাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেহেদী হাসানসহ ওই নারী শিক্ষক যোগদান করেন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দুজনই বিবাহিত। এর কিছুদিন পর ২৫ মে মাসে ওই নারী শিক্ষক তার স্বামীকে তালাকনামা (ডিভোর্স) পাঠিয়ে দেন।
তাদের প্রেমের সম্পর্কটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষক মেহেদী হাসানকে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়। এদিকে গত ১০ জানুয়ারি পরিবারের লোকজন নারী শিক্ষিকার অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে চূড়ান্ত করেন। বিষয়টি মানতে পারেননি শিক্ষক মেহেদী হাসান। ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের আপত্তিকর কয়েকটি ছবি তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। শুধু তাই নয় তাদের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের দুটি ভিডিও স্থানীয় লোকজনের মেসেনজারে শেয়ার করেন। মূহুর্তেই এসব ভিডিও এলাকার ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ইনবক্সে ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.