রাজিব আহমেদ রাসেল: সদ্য সাবেক মেয়রের পাওনা প্রায় দেড় কোটি টাকা চাইতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলে ডাকাত সাজিয়ে পুলিশে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৫টি রামদা ও ৪টি মোটরসাইকেল পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের মশিপুর গ্রামে। আটককৃতরা পৌর শহরের দ্বারিয়াপুর গ্রামের বাচ্চু(৪৮), আশিক (২৮) ও আসাদ (৩০) । তারা পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির আক্তার খান তরু লোদীর লোক। এই ঘটনা ঘটিয়েছে গারাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলামের লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা। জানা যায়, শনিবার ২৪ নভেম্বর রাত ১১টায় গারাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাইফুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টাকালে ৩ জনকে রামদা সহ আটক করার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তাদের বহনকারী ৪টি মোটরসাইকেল বাড়ির উঠানেই রাখা ছিল। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক কাঞ্চন কুমারের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় আটককৃত বাচ্চু দাবি করেন যে সাবেক মেয়র তরু লোদীর পাওনা টাকা চাইতে সাইফুল চেয়ারম্যানের বাড়িতে এসেছিলাম। পরে ফিরে যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে সাইফুল চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের ডাকাত সাজিয়ে মারধর করেছে। এই বিষয়ে শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী মুঠোফোনে বলেন, আমার লোকজন সাইফুল চেয়ারম্যানের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়েছিল। তার ইটভাটার অর্ধেক মালিক আমি, মূল টাকা সহ ব্যবসায়ীক মুনাফা সহ তার কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনা আমার। সে এখন কল করলেও ধরে না তাই তার বাড়িতে টাকা চাইতে আমার লোকজন গিয়েছিল। পরিকল্পিতভাবে আমার লোকজনকে ডাকাত সাজিয়ে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে। এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে ডাকাতির প্রস্তুতির কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। যেহেতু তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তাদের নামে পূর্বের মামলা রয়েছে তাই তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.