চাটমোহর পৌর বিএনপির সম্মেলন, ১৪ বছর পর সরব নেতাকর্মীরা
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: পৌর বিএনপির সম্মেলন ঘিরে ১৪ বছর পর সরব হয়ে উঠেছে পাবনার চাটমোহরের রাজনীতির মাঠ। ইতিমধ্যে স্থানীয় বিএনপির প্রার্থীদের দু’টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থীরা কাউন্সিলরদের সাথে কুশল বিনিময় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৪ জানুয়ারি চাটমোহর পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। কিন্তু জেলা বিএনপির সুত্র বলছে, সম্মেলন করতে এখনও তাদের প্রস্তুতি শেষ হয়নি। কিছুদিন পিছিয়ে যাবে সম্মেলন। জানা গেছে, সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীরা বেশ উচ্ছসিত। কারা প্রার্থী হলেন, কে কেমন, কে জিতবেন, কারা হবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমন নানা বিষয় উঠে আসছে তাদের আলোচনায়। একদিকে প্যানেল প্রার্থী হলেন সভাপতি আসাদুজ্জামান আরশেদ, সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুতালিব প্রামাণিক। অপরদিকে আরেকটি প্যানেলে প্রার্থী হয়েছেন সভাপতি এ এম জাকারিয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু। এদের মধ্যে সভাপতি প্রার্থী আসাদুজ্জামান আরশেদ চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং এ এম জাকারিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম পৌর বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব ও তাইজুল ইসলাম পৌর ছাত্রদলের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি। সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও আব্দুল মুতালিব প্রামাণিক পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সভাপতি প্রার্থী এ এম জাকারিয়া বলেন, ’দীর্ঘ বছর ধরে চাটমোহর পৌর বিএনপির হাল ধরে আছি। নেতাকর্মীরাও আমাকে ভালবাসেন। তাদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পেয়েছি সেটি মুল্যায়ন তারাই করবেন। তবে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীরা খুব উৎফুল্ল। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সম্মেলন করতে চাই।’ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তাইজুল ইসলাম বলেন, ’দীর্ঘদিন ধরে আমি মাঠের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকেছি। নেতাকর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দলের দু:সময়েও পিছপা হইনি। আন্দোলন করতে গিয়ে একমাস কারাভোগ করতে হয়েছে। অনেক বছর পর চাটমোহর পৌর বিএনপির কাউন্সিল হচ্ছে দেখে আমরা খুব খুশি। আমি বিশ্বাস করি কাউন্সিলররা আমাকে মুল্যায়ন করবেন।’ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু বলেন, ‘আমি দির্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় রয়েছি,পৌর যুবদলের সভাপতি সহ বিভিন্ন পদের দায়িত্ব পালন করেছি। আন্দোলন সংগ্রামে ভুমিকা রেখেছি। বিগত সরকার আমলে ৪টি গায়েবি মামলার আসামি হয়েছি ও কারাবরন করেছি। দলকে সুসংগঠিত করতে পৌর কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলরদের কাছে ভোট, দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।’ দলীয় সুত্র আরো জানায়, চাটমোহর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড কমিটির সকল সদস্যই কাউন্সিলর হিসেবে বিবেচিত হবেন। কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে পৌর নেতা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি ওর্য়াড কমিটির সদস্য সংখ্যা ৭১ জন। তবে শুধুমাত্র ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা ৫৭৪ জন। তবে ভিআইপি কাউন্সিলরের সংখ্যা ৬ থেকে ৮ জন হতে পারে। পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘কেন্দ্রের একটা সিদ্ধান্ত আছে ৪ জানুয়ারি চাটমোহর পৌর বিএনপির সম্মেলন করার। কিন্তু আমাদের কিছু প্রস্তুতিমুলক কাজ এখনও শেষ হয়নি। আর দু’দিনের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ হবে। আশা করছি আগামী ১০ থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে আমরা সম্মেলনটি শেষ করতে পারবো।’ উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৪ মে চাটমোহর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এ এম জাকারিয়াকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়। আর সর্বশেষ ২০১০ সালে চাটমোহর পৌর বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এ এম জাকারিয়া সভাপতি, আরোজ খান সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।