সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

চাটমোহরে সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবদল নেতা ফারুক গুরুতর আহত, গোলাগুলির অভিযোগ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: চাটমোহর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. ফারুক হোসেনকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর তেলপাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরে হাসপাতালে আগত বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী রাতেই চাটমোহর পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। কেন কি কারনে ফারুকের উপর হামলা হয়েছে সে বিষয়ে কেউ কিছুই বলতে পারছে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দলীয় কয়েকজন নেতা কর্মী নিয়ে মথুরাপুর তেলপাম্পের সামনের চা স্টলে বসে কথা বলছিল ফারুক। এমন সময় ৮/১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য খতবাড়ি গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সেখানে উপস্থিত হয়ে যুবদল নেতা ফারুকের উপর অতর্কিত হামলা করে রড দিয়ে পিটাতে থাকে।

এসময় তার সাথে থাকা কর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে। পিটানোর এক পর্যায়ে সে সঙ্গাহীন হয়ে পরলে তখন তারা তাকে ফেলে ফাঁকা কয়েক রাউন্ড গুলি করে রেলবাজার হয়ে চলে যায়।

এসময় তার সাথে থাকা নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পা দিয়ে ব্যাপক রক্তক্ষরনের ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

অভিযুক্ত আনোয়ার মেম্বার জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন আমি পেট্রোল পাম্পে আমার বাইকে পেট্রোল উঠাতে গেলে সেখানে উপস্থিত থাকা ফারুক ও তার লোকজন আমাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন আমাকে উদ্ধার করতে আসলে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে মারপিট শুরু হয় ও ফারুক আহত হয়। গোলাগুলির ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এইচ ইসলাম হীরা জানান, ঘটনাটি দলীয় না ব্যক্তিগত তা আমার জানা নেই। তবে আনোয়ার মেম্বার গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচন করেছেন। সে বিএনপি’র সদস্য কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করে জানানো যাবে। যদি সে দলের কেউ হয় তবে অবশ্যই দল তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর অন্যায়কারীর বিচার আমি অবশ্যই চাই।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা জানান, ২৫ জনের নামে মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----