সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

চাচার জখম মামলা থেকে রক্ষা পেতে চাচার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়ন এর কন্যানগর গ্রামে নেশা সেবন নিষেধ করার জের ধরে আপন ভাতিজা নাসিরের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মাথা রক্তাক্ত জখম হয় আপন চাচা ইসমাইল। জখম অবস্থায় চাচা বাদী হয়ে ভাতিজা নাসির সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চলতি মাসের গত ১০ এপ্রিল।

চাচা থানায় মাথা জখমের অভিযোগ দায়ের করার পর ভাতিজা নাসির বিভিন্ন কৌশল খুজতে থাকে কিভাবে চাচার অভিযোগের ভিত্তিতে আইনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় এবং চাচাকে ফাঁসানো যায়। আপন সেজে চাচা মকবুলের নিকট বিক্রি করা জমিতে পেয়ারা গাছ লাগান নাসিরের পরিবার। চাচা মকবুল টাকার জন্য নিজ গ্রামের মোঃ মাহাবুর হাসান পিতা আব্দুর রহমানের নিকট কন্যানগর মৌজার ২৫ নং খতিয়ানের ২৬০ নং আর এস দাগের ১০ কাঠা জমি গত ৩ ই মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে ১০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে নাসিরের পিতা মোঃ জয়নালের ১নং স্বাক্ষীর স্বাক্ষরে ১ লক্ষ টাকার চুক্তিতে আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত বন্ধক নামা সম্পাদন করে দেয় নাসিরের পিতা।নাসির নিজ গ্রামের শ্রমীক মন্টু মিয়া কে নিয়ে রোজার সময় পেয়ারা গাছ কেটে বন্ধক গ্রহীতাকে জমি পরিস্কার করে দেয়।

কিন্তু অপকৌশল করে চাচার অভিযোগের সপ্তাহ খানিক পরে থানায় নিজে পেয়ারা গাছ কেটে চাচার মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করেন।অপকৌশল করে চাচাকে ফাঁসাতে গিয়ে ভাইপো নাসিরের অপকৌশল পেয়ারা গাছ কাটা শ্রমীকের বক্তব্যে সব ফাঁস হয়ে গেছে।

সরজমিন খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় গত ৯ এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার বিকালে সাফদারপুর ইউনিয়ন এর কন্যানগর গ্রামের মাঝের পাড়ার মোঃ ইসমাইল হোসেন পিতা মৃত আব্দুল মালেক বিগত কিছু দিন পূর্বে আপন বড় ভাইয়ের ছেলে মোঃ নাসির উদ্দীন পিতা মোঃ জয়নাল হোসেন কে বিভিন্ন নেশা সেবন করে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে।পাওনাদারেরা টাকার জন্য বাড়িতে আসে।সে কারণে ভাইপো কে নেশা সেবন না করার জন্য অনুরোধ করে চাচা হিসেবে। নাসির উদ্দীন সে কারণে মনে মনে ব্যাপক ক্ষিপ্ত হয় চাচার উপর । সুযোগ খুজতে থাকে চাচাকে বাগে পেলে কথার সাদ মিটিয়ে দেবে।

কিছু দিন যেতে না যেতে গত ৯ এপ্রিল ইসমাইল হোসেন বয়লার মুরগির বাচ্চা বিক্রি ও নিজ ফার্মে চাষের জন্যে ওয়ার্ডার করতে টাকা পাঠানোর উদ্দেশ্যে কন্যানগর নিজ বাড়ি থেকে বের হয়।যাওয়ার পথে সাফদারপুর ও কন্যানগর গ্রামের মাঝ পথে আমতলা মোড় নামক স্থানে পৌঁছে দেখতে পারেন বড় ভাইয়ের ছেলে নাসির ও সেজে ভাই মোঃ মকবুল হোসেন পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে চাচা-ভাইপো বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে গেছে।ইসমাইল ভাইপো নাসির কে চাচার উপর চড়াও হতে নিষেধ করায় বড় ভাই জয়নাল ও তার ছেলে নাসির মকবুল কে ছেড়ে দিয়ে ইসমাইল কে ধরে ফেলেন।বড় ভাই জয়নাল পাঞ্জা করে ধরে রাখে ছেলে নাসির চাচা ইসমাইলের মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে।

রক্তাক্ত অবস্থায় জয়নালের ছোট ছেলে সাকিব এসে জখম অবস্থায় এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে।এরপর স্হানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চাচা ইসমাইল কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়।কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথায় ৪টি সেলাই দেয়। জখম স্থান গভীর হওয়ার কারনে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং মাথা সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দেয়।গোলযোগের কারণে ইসমাইলের সাথে থাকা টাকা খুঁজে না পেয়ে আরও বেশি ভেঙে পড়ছেন তিনি। কিভাবে ফার্মে মুরগির বাচ্চা তুলবেন আর কিভাবেই বা মানুষের নিকট ওয়ার্ডারের বাচ্চা পৌঁছে দিবেন না নিজে চিকিৎসা হবেন। জানাযায় ইসমাইলের কোন ছেলে সন্তান না থাকায় তার সম্পত্তির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ভাইপো নাসিরের।

চাচার জমি বন্ধক রেখে নেশা সেবন করতে ও পাওনাদারদের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে চাচা ইসমাইল কে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি মারধরের মত ঘটনা ঘটিয়েছে এই নাসির।জানা গেছে চাচার ছেলে না থাকায় তার সম্পত্তির ভাগ নিতে চাপ প্রয়োগ করতেন এই নাসির।দুর্ধর্ষ নাসির এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।এই নাসিরের ভয়ে কোন চাচা মুখ খুলতে পারে না। তার বিরুদ্ধে কথা বললে কেউ তার হাত থেকে রেহাই পায়না।সব চাচা কেই মারধর করেন নেশা সেবন করে। চাচা ইসমাইল ও বিগত দিনে তিন বার মারধরের শিকার হয়েছে। ভয়ে কিছু ব্যবস্হা নিতে পারেননি। এবার নিজের ও পরিবারের জীবন রক্ষা করতে মডেল থানার স্মরণাপন্ন হয়েছেন। এবিষয়ে চাচা ইসমাইল বাদী হয়ে বড় ভাই জয়নাল ও তার বড় ছেলে নাসির ও ছোট ছেলে সাকিব হোসেন কে বিবাদী করে ৩ জনের নামে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----