বুধবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

চলনবিলে নিষিদ্ধ চায়না জালে মাছ ও জলজ প্রাণী সয়লাব

সঞ্জিত চক্রবর্তী, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: চলনবিলের খাল বিলে চায়না দুয়ারী জাল পেতে অবাধে পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। চায়না দুয়ারী জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রাজাতির ছোট মাছ সহ সাপ, কুইচা, কাঁকড়া, ব্যাঙ, শামুকসহ অধিকাংশ জলজ প্রাণী। এতে হুমকিতে পড়েছে চলনবিলের জীববৈচিত্র।

চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে চায়না দুয়ারি নামের বিশেষ ধরনের ফাঁদ জাল ব্যবহার করে নির্বিচারে মাছ শিকার করছেন স্থানীয়রা। খুব সহজে বেশি মাছ ধরার এই ফাঁদ ব্যবহারে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছেই। ফলে ভবিষ্যতে দেশি প্রজাতির মাছ অস্তিত্বসংকটে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন বিলের ছোট ছোট খাল ও জলাশয়ে এসব জাল দিয়ে অবাধে মাছ ধরছেন স্থানীয়রা। এ জাল ব্যবহার করে দেশি মাছ ধরার একধরনের প্রতিযোগিতা চলছে চলনবিলাঞ্চলে। সব ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছ এ জালের ফাঁদে ধরা পড়ছে। বর্ষা মৌসুমে মাছের প্রজনন হওয়ায় এ জালের উৎপাত বেশি। দেশি প্রজাতির সব মাছ চায়না দুয়ারী নামক জালে নিধন হচ্ছে। এতে ক্রমেই মাছশূন্য হয়ে পড়ছে নদ-নদী ও খাল-বিল।

হান্ডিয়াল পাকপাড়া গ্রামের মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকাল থেকে বিকাল,  আর সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত এই চায়না দুয়ারি নদীতে ফেলা হয়। এ সময় জালে ধরা পড়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত সহ নদীতে থাকা জলজ প্রাণী কাঁকড়া, শামুক, কুচিয়া ও ব্যাঙ ধ্বংস হচ্ছে। বেশিরভাগ জালে মাছের চেয়ে অন্যান্য জলজ প্রাণীই আশঙ্কাজনক হারে মারা পড়ছে। অবাধে এ জাল দিয়ে মাছ ধরলে কিছুদিন পর হয়তো খালে-বিলে শূন্য দেখা যাবে।

মৎস্য শিকারিরা বলেন, চায়না দুয়ারী জালে খুব ছোট দারকিনা, মলা, ইচা, চান্দা, খলিশা, পুঁটি, টেংরা, বাতাসি মাছ থেকে শুরু করে বড় শোল, বোয়াল, গজার কোন মাছের রেহাই নেই। বেশিরভাগ জালে মাছের চেয়ে সাপ, কুইচা, কাঁকড়া, ব্যাঙ, শামুক, ঝিনুকসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী ধরা পড়ে। এসব থেকে তারা মাছ ও কুইচা বিক্রি করছেন। বাকি অসংখ্য জলজ প্রাণী মেরে ফেলা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, চলনবিলে মাঝে মধ্যেই অভিযান চালানো হচ্ছে। মাছ নিধন ও অন্যান্য জলজ প্রাণী ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হবে। এই জালের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নিয়ে যেতে আমরা মৎস্য অধিদফতর কাজ করছি।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়