রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ডাক্তার ছাড়াই ওপেন হার্ট সার্জারিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

সংবাদের আলো ডেস্ক:রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি, অস্ত্রপচারে সময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। সব করেছে সহকারীরা। পরে মৃত্যু হলে বিষয়টি আড়াল করতে নানা গড়িমসি শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবেন তারা। জানা গেছে, বুকের ব্যথা নিয়ে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে রাজধানীর পান্থপথের গ্রীন লাইফ হাসপাতালে আসেন ৫৫ বছরের মোশাররফ হোসেন। ডাক্তারের পরামর্শে ভর্তি হন হাসপাতালে। তবে ওপেন হার্ট সার্জারির শেষে চিকিৎসক সফল বললেও কিছুক্ষণ পর স্বজনদের কাছে বলা হয় মারা গেছেন মোশাররফ। স্বজনদের দাবি, অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তার। ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলে নানা নাটকীয়তা। এমনকি দেয়া হয় হাতে লেখা বিল।মোশাররফের ছেলে মো লিটু হোসেন বলেন, বাবাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারের সহকারী ও মেডিকেলের অন্য ব্যক্তিরা অপারেশনের কাজ করেছে। আমার তাদেরকে বলেছি যে যেই ডাক্তারকে রোগি দেখাবো সেই ডাক্তার কোথায়। অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার পরেও ডাক্তার আসেনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ডাক্তার আসছে ততক্ষণে বাবার হার্ট খুলে ফেলা হয়েছে। এর ভিতর আমার ছোট বোনকে ভেতরে নিয়ে দেখান যে তারা কাজ করছে। কিন্তু ডাক্তার কোথায় এই প্রশ্নে অপারেশন থিয়েটারে যারা ছিল তারা বলেছেন ডাক্তার আসতেছে। এদিকে মোশাররফের মেয়ে ফারজানা হোসেন বলেন, চিকিৎসক ডা. এ কে এম মনজুরুল আলম আমার পড়ালেখার খরচ এবং পড়ালেখা শেষে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে আমাকে জব দিবেন এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর তার সহকারী জুয়েল অ্যাম্বুলেন্স খরচের জন্য ৫ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন।কিন্তু আমার বাবাই তো মারা গেলেন আমি এই টাকা দিয়ে কি করবো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মহলে আলোচনা চলছে। এদিকে এই ঘটনার পর দ্রুত সটকে পড়েন অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এ কে এম মনজুরুল আলম। গ্রীন লাইফ হাসপাতালের জেনারেল বিভাগের পরিচালক হাসান খালিদ বলেন, আমরা চেষ্টা করবো অভিযুক্ত চিকিৎসককে নিয়ে বিষয়টি জানাতে। অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে কি হয়েছে আমার পক্ষে বলা সম্ভব না এবং আমি ওখানে ছিলাম না। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ গেলে বাধে বিপত্তি। শুরু হয় দুপক্ষের মাঝে দেনদরবার। তারপরও পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবেন তারা। কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মৃতের সন্তানরা যদি এ বিষয়ে অভিযোগ দেয় তাহলে সেই অনুযায়ী আমারা কাজ শুরু করবো।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়