তবে ছেলের পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা করলেও মুস্তাহাব আদায় হয়ে যাবে। যদিও দুটি করা উত্তম। (রদ্দুল মুহতার : ৫/২১৩, আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ : ৩০/২৭৭)
অনেকেই জানেন না কি ধরনের পশু দিয়ে আকিকা করা উচিত! মূলত, যেসব জন্তু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না, সেসব জন্তু দিয়ে আকিকাও শুদ্ধ হয় না। তাই আকিকার ক্ষেত্রে জন্তুর বয়স ও ধরনের দিক থেকে কোরবানির জন্তুর গুণ পাওয়া যায়, এমন জন্তুই নির্বাচন করতে হবে। (তিরমিজি: ৪/১০১)
হ্যাঁ, কোরবানির জন্তুর সঙ্গে আকিকা করা বৈধ। একটি পশুতে ৩ শরিক কোরবানি হলে সেখানে আরো ২-১ শরিক আকিকার জন্যও দেওয়া যেতে পারে। তদ্রূপ কোরবানির মতো একই পশুতে একাধিক ব্যক্তি শরিক হয়ে আকিকা আদায় করতে পারবে। (দুররুল হুক্কাম: ১/২৬৬)
আরও সহজ করে বললে, একটি বড় পশু সর্বোচ্চ সাত জন শরিক মিলে কোরবানি করতে পারেন। এক্ষেত্রে এদের মধ্যে যদি কেউ আকিকা দেওয়ারও নিয়ত করেন, তাহলে তার আকিকা ও অন্যদের কোরবানি সহি হবে। এতে কোনও সমস্যা নেই।
আর আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে, আকিকার মাংস যার নামে আকিকা— তিনি, তার বাবা-মা ও স্বজনেরা খেতে পারবেন না। একথা মোটেও সঠিক নয়। বরং আকিকার মাংস মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই খেতে পারবেন।আম্মাজান আয়েশা (রা.) বলেন, (আকিকার মাংস) নিজে খাবে, অন্যদের খাওয়াবে এবং সদকা করবে। তথ্যসূত্র: (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০, ফাতাওয়া কাজিখান ৩/৩৫০-৩৫১ ও মুসতাদরাকে হাকেম ৫/৩৩৮)
কোনো কোনো অঞ্চলে একটি কুপ্রথা রয়েছে যে যখন নবজাতকের মাথায় ক্ষুর বসানো হবে, ঠিক সেই মুহূর্তে পশু জবাই করতে হবে, এ ধারণা সঠিক নয়। মাথা মুণ্ডানোর আগে-পরে যেকোনো সময় আকিকার পশু জবাই করা যাবে।
আতা (রহ.)-এর এক বর্ণনা মতে, আকিকার পশু জবাই করার আগে মাথা মুণ্ডিয়ে নেওয়া উত্তম। (আল মুকাদ্দামাতুল মুমাহ্হাদাত: ১/৪৪৯)
তবে অনেকে আবার মৃত সন্তানেরও আকিকা দেন, কিন্তু যেহেতু আকিকা করা হয় বালামুসিবত দূর করার জন্য, তাই মৃত বাচ্চার পক্ষ থেকে আকিকা করা সুন্নত নয়। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৭/৫৩৬)
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.