জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জ সদরের কুড়িপাড়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পদবঞ্ছিতদের এমপিও প্রাপ্তিতে উচ্চ আদালতে আপীল থাকা সত্বেও ল্যাব: সহকারী পদে আব্দুল মমিন ও অফিস সহায়ক পদে আশরাফুল আলম নামে দু’জনকে বিধি বর্হিভুতভাবে গোপনে নিয়োগ দেন অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান। প্রভাষক পদে পদবঞ্ছিত মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও জাহাঙ্গীর আলম এবং অফিস সহায়ক পদে এনামুল হক ২৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেন। যার কপি এ প্রতিবেককের কাছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি গোলাম রব্বানী ও অধ্যক্ষ আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিধি বর্হিভুতভাবে গত বছর ল্যাব সহকারী ও অফিস সহায়ক পদে গোপনে দু’জন নিয়োগ দিয়ে প্রভাষকপদে আরো নতুন দু’জন নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন। অফিস সহায়ক পদে পদবঞ্ছিত এনামুলক হক চান বলেন, ‘১৯৯৯ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠা হলেও গত ২০১৭ এমপিওভুক্ত বাতিল হয়। এরপর উচ্চ আদালতে আপীল করি। সেটি নিস্পত্তি না হওয়া সত্বেও অধ্যক্ষ ল্যাব: সহকারী পদে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় কর্মী আব্দুল মমিন ও অফিস সহায়ক পদে আশরাফুলকে গোপন নিয়োগ দেন। প্রতিষ্ঠান সভাপতি ও সদর ইউএনও বরাবর অভিযোগও দিয়েছি।
প্রতিষ্ঠান সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মনোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও করা হবে। অধ্যক্ষকে ডেকে বিতর্কীত ও অভিযুক্ত দু’জনের বেতন বন্ধ করতেও বলা হয়েছে।’ অভিযুক্ত অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০০৪ সালে রাজনৈতিক কারনে কলেজের এমপিও বাতিল হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা উচ্চ আদালতে আপীল করেন। দীর্ঘদিন আপীল নিস্পত্তি না হওয়ায় অনেকেই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্যত্র চাকরী করেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারনে কজন বাদও পড়েন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের আদেশ আপীল নিস্পত্তি হলে অনুপস্থিত থাকা দু’শিক্ষক, ল্যাব সহকারী ও অফিস সহায়কসহ চার জনের বেতন হয়নি। তারাও ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে উচ্চ আদালতে আপীল করেন। সাবেক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ল্যাব সহকারী ও অফিস সহায়ক পদে দু’জনকে নেয়া হয়েছে। আপীল নিস্পত্তি হলে বাদ পড়াদের বিষয়ে উচ্চ আদালতই সিদ্ধান্ত দেবেন। এর আগে কাজিপুরে ক’জনকে আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দেয়াও হয়। বাদ পড়াদের অপেক্ষা করতে হবে।
আদালতের নির্দেশে অবস্যই বাদ পড়াদের আগামীতে সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।’ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম রব্বানী পতিত আওয়ামীলীগের সমর্থক। মামলার কারনে মুঠোফোন বন্ধ করে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.