কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাও, বাণিজ্যসহ ভিসা বন্ধের হুঁশিয়ারি
সংবাদের আলো ডেস্ক: বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে আমদানি-রফতানিসহ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও ভিসা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। অপরদিকে, একই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেই থাকবে তৃণমূল।’ এ সময় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের জীবন, জীবিকা, বাসস্থান, উপাসনা কেন্দ্র সুরক্ষার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি দল। বিজেপি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে হাতে পোস্টার-ব্যানার নিয়ে কলকাতার রবীন্দ্র সদন থেকে মিছিল করে সেখানে পৌঁছান তিনি। স্মারকলিপি জমাদান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক আপনারা নষ্ট করছেন। বিজয় দিবস আসছে আগামী ১৬ই ডিসেম্বর, তার প্রাক্কালে সেই সময় ভারতীয়দের ও সেনাবাহিনীর অবদান আপনারা চাইলেও মুছে ফেলতে পারবে না। আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে বাংলাদেশের বহু মানুষের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। এর আগে আমরা বাংলাদেশে অনেক সরকার দেখেছি। কিন্তু এরকম ভারতবিদ্বেষী মনোভাব আমরা বিগত দিনে দেখিনি।’ এ সময়, বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, ‘চিকিৎসা নেয়ার জন্য করাচি আর লাহোর যান, এখানে আসবেন না। এদিকে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃনমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও লোকসভার এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এটা পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপার। এটা নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করবো না। তবে তৃণমূলের অবস্থান এ বিষয়ে খুব স্পষ্ট। বিদেশে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে ভারত সরকার যে অবস্থান নেবে, তৃণমূল তাকে সমর্থন করবে। বাংলাদেশে যা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক।’
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।