শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কড়া নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন যাচ্ছে পণ্যবাহী ট্রলার

সংবাদের আলো ডেস্ক:কক্সবাজার টেকনাফের নাফনদীর ওপারে রাখাইন রাজ্যে দু’পক্ষের চলমান সহিংসতার কারণে গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ জলসীমা ও স্থলেভাগে কড়া নিরাপত্তা জোরদার অব্যাহত রেখেছে সীমান্তে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি নাফনদী হয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করা সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। এদিকে উক্ত নৌপথে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্যদ্রব্য ও বিভিন্ন প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে। তথ্য সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দ্বীপবাসী ও পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সংকট নিরসন করতে দেশীয় জলসীমায় কর্মরত কোস্টগার্ড বাহিনীর বিশেষ ব্যবস্থায় কড়া নিরাপত্তায় মধ্যে দিয়ে টেকনাফ পৌরসভা ফিশিং ঘাট থেকে বিভিন্ন প্রকারের পণ্যবাহী ৭ ট্রলার সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়েছে।শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, টেকনাফের নাফনদে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্যপণ্য প্রয়োজনীয় মালামালের সংকট যেন না হয়। দ্বীপে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এই বিশেষ ব্যবস্থাটি হাতে নেওয়‍া হয়েছে। এবিষয়ে সেন্টমার্টিন যাত্রী ও পণ্যবাহী সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গত ৮ ডিসেম্বর টেকনাফের নাফনদীর দেশীয় জলসীমা সংলগ্ন মিয়ানমার বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা সেদেশের মংডু শহরটি দখল করে নেওয়ার পর থেকে সেই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিরাজ করছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।এরপর থেকে নাফনদী হয়ে কোনো ধরনের ট্রলার চলাচল করতে পারেনি। অবশেষে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় বিভিন্ন প্রকারের পণ্যবাহী ৭টি ট্রলার দ্বীপে পৌঁছতে সক্ষম হয়। যদি সঠিক সময়ের মধ্যে পন্য গুলো না আসতো কক্সবাজার হয়ে দ্বীপে আগত পর্যটকরা খাদ্য সংকটে পড়তো বলেও জানান তিনি। দেশীয় সীমান্তবর্তী এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি কেমন আছে জানতে চাইলে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, মিয়ানমারে দু-পক্ষের চলমান সহিংসতা পরিস্থিতি মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সৈনিকরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জোরদার নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়