এনায়েতপুরে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ, ধর্ষক সহ গ্রেপ্তার ৪
উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার এনায়েতপুর থানার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী (৯) ধর্ষণের ঘটনায় রবিবার দুপুরে এলাকাবাসি ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ধর্ষক একই গ্রামের দলিল লেখকের সহকারী হামজালা হোসেনের (৩০) ফাঁসির দাবীতে এনায়েতপুর কেজির মোড় এনায়েতপুর প্রেসক্লাবের সামনে কুশপুত্তলিকা দাহ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গোপালপুর গ্রামের সড়কে মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কেজির মোড়ে যায়।
সেখানে ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করে ধর্ষকের ফাঁসির দাবীতে এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এরপর তারা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে এনায়েতপুর থানা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পুলিশ এ ঘটনায় ধর্ষক দলিল লেখকের সহকারী হামজালা হোসেনের (৩০), রোজি খাতুন(৪৮), ধর্ষকের বাবা ইব্রাহিম মোল্লা(৬৫) ও চাচা লতিফ মোল্লা(৬০) কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতা শিশুর বাবা জানান, গত শনিবার সকাল ১১ টার দিকে তার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় আমার মেয়েকে পথে একা পেয়ে একই এলাকার লম্পট হামজালা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে তার চাচি রোজির ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এতে শিশুটির গোপনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে রোজি সহ অন্যান্যরা সজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে মাথায় পানি ঢালে ও পাশের পাড়ির এক পল্লি চিকিৎসক শেফালিকে ডেকে নিয়ে দেখায়। রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে শেফালি ক্ষতিগ্রস্থ গোপনাঙ্গে ৩টি সেলাই দেয়। এরপরেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ও শিশুটির অবস্থা আরও বেগতিক হয়ে পড়ায় তার পরিবারকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে তার বাবা মা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকদেও পরামর্শে তাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা ঢাকা নিয়ে যেতে বললে ঢাকা নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকা জনক বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই শিশুটির শরবত বিক্রেতা বাবা বাদি হয়ে ধর্ষক হামজালা সহ ৫ জনকে আসামী করে এনায়েতপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। রবিবার দুপুরে পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগাওে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর দ্রুত অভিযান চালিয়ে ৪ আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্য পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্ট চলছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।