একজন মানুষকে আর কতবার রিমান্ডে নেওয়া যায়, প্রশ্ন আইনজীবীর
সংবাদের আলো ডেস্ক: মোহাম্মদপুর থানার এক ভ্যানচালককে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ফের ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন মামলায় ৩৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন তিনি। ‘একজন মানুষকে আর কতবার রিমান্ডে নেয়া যায়’ বলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পলকের আইনজীবী। এ বিষয়ে পলকের কাছে জানতে চাইলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিছু বলতে চান না বলেন জানান। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে পলকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় সাবেক এমপি সাদেক খান ও সাবেক ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিল সলিমুল্লাহ সলুর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে এদিন সকালে পলকসহ অন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই তালায় ২৭নং কোর্টে তোলা হয়। এরপর মোহাম্মদপুর থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় পলক, সাদেক খান ও সলিমুল্লাহ সলুর ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।এ সময় পলকের পক্ষের আইনজীবী ফারাজানা ইয়াসমিন রাখি আদালতকে বলেন, আসামি পলকের ৫৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এর ভিতর ৩৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন তিনি। একজন মানুষকে আর কতবার রিমান্ডে নেয়া যায়। আসামি রিমান্ডে থাকার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে নিছক কারণে বারবার রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে৷ এ সময় বিচারক বলেন, এ মামলায় তো আর রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, রিমান্ড তো মাত্র শুরু হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হত্যার ষড়যন্ত্র। গণভবনে বসে হত্যা বা হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তারা।ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন পলক। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার উদাহরণ টেনে পিপি বলেন, ১৫ আগস্টে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মামলাও নয়, প্রথমে জিডি করা হয়। এই জিডির ৪ লাইন টেনে ২১ বছর পর কত মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তাই ক্রিমিনাল মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামির রিমান্ড প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত পলকসহ তিন আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানি শেষে ফের পুলিশি কড়া নিরাপত্তায় হাজতখানায় নেওয়া হয় পলকসহ বাকি আসামিদের। এ সময় পলককে বারবার রিমান্ডের বিষয়ে কালবেলা মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলা তিনি উত্তরে না বলেন। এরপর আর কিছু বলেননি তিনি। এ সময় তাকে বিমর্ষ থাকতে দেখা যায়। এর আগে আদালতে পলক গণমাধ্যমকে বলেন, আমি বৈষম্যের শিকার। কারাগারে আমাকে পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয় না। এর আগে গত বছরের ১৪ আগস্ট ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকার নিকুঞ্জ আবাসিক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সাড়ে ৫ মাস ধরে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে ছিলেন তিনি।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।