রায়হান আলী, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে ক্লাস শুরু হলেও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চন্দ্রগাঁতি দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত পাওয়া গেছে । সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাজিরা খাতায় প্রথম শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী ১১ জন থাকলেও উপস্থিত রয়েছে মাত্র ৬ জন শিক্ষার্থী। ক্লাস রুমে জরাজীর্ণ ভাবে তাদের ক্লাস নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন। ২য় শ্রেণীতে একজন শিক্ষার্থী নিয়ে আরবি সাহিত্য ক্লাস নিচ্ছেন সহকারী মৌলবি মনসুর রহমান। তিনি জানান দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মাত্র ১ জন,তাই একজন কে নিয়েই পাঠদান চলছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও একটি শিক্ষার্থীও পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকের পদ রয়েছে ২৯ টি। এলাকাবাসীর অভিযোগ ১৯৮৪ সালে এমপি ভুক্ত হলেও মাদ্রাসাটিতে লেখাপড়ার মান একবারেই তলানিতে রয়েছে । শিক্ষকরা সরকারি বেতন পেলেও নিয়মিত ক্লাস নেয় না। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং ভর্তির জন্য তাদের কোন পদক্ষেপে নেই৷ প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এরকম সুযোগ পাচ্ছেন তারা। এলাকাবাসীর দাবি প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসনের নজরদারি দরকার।চন্দ্রগাতি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলবি মনসুর রহমান জানান নতুন বছরে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের তারা সবগুলো বই দিতে পারেননি। তার দাবি বই না থাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম। প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল নাসির উদ্দিন জানান তাদের ইবতেদায়ি শাখায় মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১ শতাধিক কিন্তু বই না থাকায় ইবতেদয়ির সবগুলো ক্লাস মিলে উপস্থিত ছিলেন ১১ জন। এছাড়াও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ৩১০ জন থাকলেও উপস্থিত ছিলো ৫৩ জন। তিনি আরো জানান তারা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মাদ্রাসায় আসার জন্য তাগিদ দিবেন। তার দাবি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে শিক্ষার্থীদের তেমন কেন সুযোগ সুবিধা নেই তাই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে অনিহা। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ,কে,এম শামসুল হক জানান শিক্ষার্থীদের ক্লাসে শতভাগ উপস্থিতি করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা কি জন্য উপস্থিত নেই এটা প্রতিষ্ঠানটির কাছে জানতে চাওয়া হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.