উলিপুরে ২ দিনে নদীগর্ভে বিলীন ৮০টি বসতভিটা
খালেক পারভেজ লালু, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে নদী পাড়ের মানুষজন।
গত দুই দিনে ধরলা নদীর পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেল মামুদ কমিউনিটি ক্লিনিক, কুদেরকুটি কাশেম বাজার জামে মসজিদ এবং ৬০টি বসতবাড়িসহ শতাধিক ফসলি জমি, গাছপালা নদীতে বিলীন হয়েছে।
এ ছাড়া খুদেরকুটি আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় ও আশ্রয়কেন্দ্র ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে দিন-রাত গাছের ডাল ও বস্তা ফেলে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ভাঙনকবলিত মানুষজন।
উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দঁড়িকিশোরপুর, নগরপাড়া, হোকডাঙ্গা, জুয়ান সতরা ও গোড়াইপিয়ার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন এলাকার প্রায় ২০টি বাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে।
ভাঙ্গন কবলিত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আকতার হোসেন, মোক্তার হোসেন, মহুবর রহমান, ইব্রাহীম আলী জানান, আমাদের বসতবাড়ি ও জমাজমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এলাকার মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে।
বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ধরলার ভাঙনে আমার বাড়িসহ ৬০টি বসতবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব কিছু নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।’
উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃমোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আক্কেল মামুদ কমিউনিটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে উপকরণসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। ভাঙন রোধে এক হাজার ৫০০ জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু হয়েছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।