উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে কথিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সালাউদ্দিন পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়। জনতা সালাউদ্দিনকে উত্তম মধ্যম দিয়ে ওই নারীর ঘরে বেঁধে রাখে। এরপর এলাকার উৎসুক শতাধিক নারী ও পুরুষের রোষানলে পরে সালাউদ্দিন।
কেউ কেউ চায় ওই নারীর সাথে বিয়ে দিতে, আবার কেউ কেউ চায় থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে। সেখানে থানা পুলিশ, একদল সাংবাদিকের উপস্থিতিতে জনতার হাতে আটকের ৬ ঘন্টা পর পুলিশ সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করে উলিপুর থানায় নিয়ে আসে ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা রাতে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দরি কিশোরপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় ওই নারী উলিপুর থানায় হাজির হয়ে রাতেই সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে l
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ পাঁচ/ছয় মাস ধরে ১২ বছর আগে বিবাহিত ওই নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে সালাউদ্দিন।
স্বামী ও ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া ১ মেয়েকে ছেড়ে ওই নারী সালাউদ্দিনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। মাস খানেক আগেও ঘর বাঁধতে এক মাস ধরে ঢাকার কোন এক জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বসবাস করেছে বলে ওই নারী সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
এরপর ওই মধ্যবয়সী নারীকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বিয়ে করবেন বলে শান্তনা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে রাতের আঁধারে ৩ পুত্র সন্তানের জনক সালাউদ্দিন নিয়মিত ওই নারীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করে আসছিলো।
একটি সূত্র জানায়, বেপরোয়া সালাউদ্দিন পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই স্ত্রী সন্তানদের প্রতি রূঢ় ও মারমূখী আচরণ করে আসছে। এমনকি সালাউদ্দিন তার বৃদ্ধ মা-বাবাকেও প্রহার করত বলে এলাকাবাসী জানায়। সালাউদ্দিনের পিতার নাম সেকেন্দার আলী, গ্রাম : দরি কিশোরপুর। উলিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা জানান, বাদীর মেডিকেল রিপোর্টের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে আর সালাউদ্দিনকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি এখন উলিপুরে টক অফ দা টাউনে পরিণত হয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.