সংবাদের আলো ডেস্ক: সস্বাদু মৌসুমী ফল আমের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পরেছে সর্বত্র। দাম হাতের নাগালে হওয়াতে সবাই কিনছে আম। এ সময় নিত্যদিনের খাবার তালিকায় আমকে প্রাধান্য দিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু আম খেলে ওজন বাড়ে না কমে এমন প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যারা ক্যালরি মেপে খান বা ডায়েট করেন, তারা কি আম খাবেন? খেলেও কতটুকু খাবেন চলুন জেনে নিই সে সম্পর্কে-
আম খেলে ওজন বাড়তে পারে এই ধারণার পেছনে জোরালোভাবে কাজ করে এর মিষ্টি স্বাদ। আমের সুমিষ্ট স্বাদের কারণে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, আম বেশি খেলে ওজন দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা স্থুল কিংবা যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় রয়েছেন তাদের খুব খেতে ইচ্ছা করলেও বেশি আম খেতে পারেন না। এদিকে আম খেলেই যে ওজন বেড়ে যায় এই ধারণার সঠিক কোনো ভিত্তি নেই। বরং আম খাওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতে পারে।
ফ্যাট কমায়: যারা অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা আমের দিনে প্রতিদিন আম খেতে পারেন। এর কারণ হলো, আমের খোসায় থাকে ফাইটোকেমিক্যাল। এই উপাদান ফ্যাট কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এ ছাড়া আমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিকর তন্তুও। যে কারণে আম খাওয়ার পরে অনেকটা সময় পেট ভরা থাকে। তাই বার বার ক্ষুধা লাগে না। যে কারণে ফ্যাটযুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহও কমে আসে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
ত্বক ভালো রাখে :অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। যত পুষ্টিকরই হোক না কেন, কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। একথা সত্যি আমের ক্ষেত্রেও। আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। তাই আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত না খেলে ওজন বৃদ্ধি কিংবা অন্য কোনো সমস্যার ভয় থাকবে না। এই ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ এবং সি। যে কারণে আম খেলে ত্বক ভালো রাখা সহজ হয়। তাই এই গরমে প্রতিদিন পরিমিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ক্যান্সার রোধ করে: মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার দূরে রাখতে কাজ করে পুষ্টিকর ফল আম। কারণ এই ফলে থাকে প্রচুর বেটা-ক্যারোটিন থাকে। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সারের মতো অসুখ থেকে বাঁচতে নিয়মিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে :সুস্থ থাকার জন্য হৃদযন্ত্র ভালো রাখা জরুরি। এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আম। এই ফলে থাকে প্রচুর ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। এসব উপাদান হৃদরোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে কাজ করবে।
শর্করার পরিমাণ বেশি :গ্রীষ্মের ফলের মধ্যে সবচেয়ে মজার রসালো ফল হলো আম। যারা ওজন নিয়ে সচেতন, তারা মনে করেন আম খেলে ওজন বাড়তে পারে। আমে শর্করা আছে যথেষ্ট পরিমাণে। ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করা পরিমাপ করে খাওয়া উচিত। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি মাত্রার, ৬০ থেকে ৮৫। বেশি আম খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন পাকা মিষ্টি আম ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে একটি ছোট আম বা মাঝারি আমের অর্ধেক খাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে খাদ্য তালিকা থেকে অন্যান্য শর্করাকে বাদ রাখতে হবে। বিশেষ করে ভাত।