আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন বাকৃবির ছাত্রী-শিক্ষক
সংবাদের আলো ডেস্ক: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও কৃষি অনুষদের অধ্যয়নরত আবাসিক শেখ রোজী জামাল হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন তারা। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।
পুরো ঘটনাটিই স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী। ওই শিক্ষার্থীর হলে গেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি রোজী জামাল হলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর অনৈতিক মেলামেশার বিষয়টি স্বীকার করেন ওই শিক্ষার্থী। এসময় প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই শিক্ষার্থী। স্বীকারোক্তিতে ওই শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী।
ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন যে ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক। মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত এই বিষয়টিও জানতেন ওই শিক্ষার্থী। বিবাহিত হওয়ার পরেও ওই ছাত্রীকে নিয়ে নিজের গাড়িতে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে আসার ব্যাপারে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেন নি। এ বিষয়ে সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পারলে আমি তৎক্ষণাৎ রোজী জামাল হলে চলে আসি।
ওই ছাত্রী ঘটনার ব্যাপারে নিজের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কোনোরকম তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে দুদিন আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্থ থাকায় প্রায় ১০ টি ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। এমতাবস্থায় তাকে হলে রাখা বিপদজনক বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুখসানা আমিন রুনা। ওই শিক্ষার্থীর লোকাল অবিভাবকদের ডেকে তাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান হল প্রভোস্ট। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল ধরেন নি।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।