সংবাদের আলো ডেস্ক: মানুষের মধ্যে মহৎ গুণের অন্যতম একটি গুণ হচ্ছে ‘ক্ষমাশীলতা’ সর্বোৎকৃষ্ট এ গুণ মানুষকে মহৎ বানায়। সম্মান বাড়ায়। পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় করে। জীবনে অনেকের উপরই আপনার রাগ-ক্ষোভ কিংবা ঘৃণা থাকতে পারে, তারপরও যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করতে পারেন তাহলেই কিন্তু আপনি মহৎ ব্যক্তিতে পরিণত হবে। প্রতিবছর ২৬ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ক্ষমা দিবস।
১৯৯৪ সালে দিবসটির সূচনা করে খ্রিস্টান রাষ্ট্রদূতদের দূতাবাস। তবে সব ধর্মেই ক্ষমার দৃষ্টান্তের মহত্ব সম্পর্কে জানানো হয়েছে। কাউকে ক্ষমা করলে ছোট হয় না, বরং ক্ষমাকারীর প্রতি অনেকেরই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়।
ক্ষমা করতে পারা কিন্তু অনেক কঠিন একটি কাজ। তবে আপনি যদি ক্ষমা করার গুণ রপ্ত করতে পারেন তাহলে দেখবেন মন থেকে রাগ, আঘাত বা প্রতিশোধ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ভুলে যাবেন ও মন ফুরফুরে থাকবে। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন ‘যে দুর্বল সে কোনোদিনও ক্ষমা করতে পারে না। ক্ষমা হলো বলবানের লক্ষণ।’
সাম্প্রতিককালে ক্ষমার উপর অনেক গবেষণা করা হয়েছে। জানা গেছে, এটি আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষ করে মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও ওষুধের ক্ষেত্রে। ক্ষমা করা মানসিক স্বাস্থের জন্যও উপকারী। এতে করে মানসিক চাপ, রাগ, বিষণ্নতাসহ রাষ্ট্রীয় উদ্বেগ কমে। একই সঙ্গে ক্ষমা করলে রক্তচাপ কমে ও কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ক্ষমা প্রকল্পের পরিচালক ড. ফ্রেডেরিক লুস্কিন ক্ষমা উপকারিতার বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার ফলাফল বলছে, ক্ষমার অনুশীলন করা মানুষরা মানসিকভাবে কখনো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন না। যে কোনো মানসিক আঘাত তারা কাটিয়ে উঠতে পারেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.