বুধবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আগামীকালও চলবে বাংলা ব্লকেড, বাধা এলে প্রতিহতের হুঁশিয়ারি

‘এই আন্দোলন যৌক্তিক নয়’ বলে মাননীয় প্রধামন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমার ধারণা, বঙ্গবন্ধুর পাশে যেমন মোস্তাক ছিল, তার পাশেও কিছু মোস্তাক আছে। আমাদের প্রাণের দাবিগুলো তার কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছেন না। এজন্য আমরা আজ শাহবাগ থেকে বলতে চাই—পুরো বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনি সংবিধান অনুসারে কোটা বিলুপ্ত করুন। পিছিয়ে পরাদের জন্য কিছু কোটা থাকতে পারে। এ ছাড়া কোটা বিলুপ্ত করুন। যেদিন আমাদের দাবি আদায় হবে, সেদিন আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গতকাল থেকে আমাদের এক দাবি। আমাদের দাবিটি হচ্ছে–সব গ্রেডে অযৌক্তিক বৈষম্যমূলক সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর পিছিয়ে পরা জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।আগামীদিনের কর্মসূচির বিষয়ে নাহিদ বলেন, আমাদের বলা হচ্ছে এটা আদালতের বিষয়। ৫০ বছর অপেক্ষা করেছি। আমাদের দাবি যদি যৌক্তিক মনে না হয়, তাহলে আপনারা কোটা শতভাগ করে দেন।

সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন পয়েন্টে ব্লকেড কর্মসূচি চলবে। আগামী রোববার পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট ক্লাস পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে। আজকের ব্লকেড কারওয়ানবাজার পর্যন্ত গেছে। আগামীকালও ফার্মগেট পর্যন্ত যাবে। আগামীকাল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জড়ো হবে। ব্লকেড কর্মসূচি পালন করব। কোনো বাধা এলে প্রতিহত করা হবে।উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র জারি করে সরকার। গত ৫ জুন সেই পরিপত্রের আংশিক আংশিক অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। তবে এ আদেশ না মেনে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরে শাহবাগ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের নাম ঘোষণা করছেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার শাহবাগে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিলো। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিলো। একই বছর  ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন হয়। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিল বিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে হাইকোর্ট।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়