আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনায় যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সম্প্রতি হামলা চালিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ভাঙচুর করে এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে অবমাননা করে। এ ঘটনায় ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে।
এই হামলাকে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নজরে এসেছে। সেখানে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মধ্যকার বিবাদমান মতপার্থক্য দূর করবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা করে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ম্যাথিউ মিলার। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন। এবং ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই সম্প্রতি ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশনের ওপর সহিংস হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হামলার সেই ঘটনা এবং বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে (ভারত থেকে)। ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী বক্তব্য সম্পর্কে আপনার কোনও মন্তব্য আছে? জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে-বাংলাদেশ ও ভারত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মধ্যকার বিবাদমান মতপার্থক্য দূর করবে। তার ভাষায়, দেখুন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করুক, এটিই আমরা দেখতে চাই। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিসহ ব্যাপক বিক্ষোভ করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এসময় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কথিত নিপীড়নের নিন্দা এবং বাংলাদেশের ইসকন সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবিতে তাণ্ডব চালায়। আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের ব্যানারেই সেখানে হামলা ও তাণ্ডবের সময় এই ভাঙচুর ও হাইকমিশন অফিসের পতাকা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।’
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।