রাঙামাটি প্রতিনিধি: পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির লংগদুতে অসুস্থ হয়ে লোকালয়ে আসা দলছুট বুনো হাতিকে চিকিৎসা দিয়ে বনে ফেরালো বনকর্মীরা। গত তিনদিন আগে আসা বন্য হাতিটিকে বুধবার দুপুর হতে চিকিৎসা শুরু করে কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া সন্ধ্যার আগে বনে ফেরানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের কর্মকর্তা রেজাউল করিম। গত শনিবার ভোররাতে অসুস্থ হয়ে ঘুরতে ঘুরতে উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন পাবলাখালী রেঞ্জের রাঙ্গীপাড়ার আগরবাগান লোকালয়ে এসে পড়ে। সকালের আলো ফোটার পর স্থানীয়রা হাতিটিকে দেখতে পায়। তখন দলছুট হাতিটি এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছিল। উৎসুক মানুষও দলছুট হাতিটির পিছু নেয়। মানুষের তাড়া খেয়ে হাতিটি জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। জঙ্গলের চারদিকে লোকালয় হওয়ায় হাতিটিকে নিয়ে উদ্বেগ-আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মাঝে। রাঙ্গীপাড়া বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর জানান, দলছুট বুনো হাতি লোকালয়ে নেমে আসার খবরে অভিযানে নামে বনবিভাগ। চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বনবিভাগের সঙ্গে একদল বনকর্মীদের প্রচেষ্টায় হাতিটিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। কঠোর পরিশ্রমে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া বন্য হাতিটিকে লোকালয় হতে বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল বনাঞ্চলের দিকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়। চিকিৎসকরা বলেন, হাতিটির শরীরে পুরোনো একটি ক্ষত রয়েছে। ফলে নাড়াচাড়া করতে পারছে না। তবে চিকিৎসা পরবর্তী হাতিটি সুস্থ হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তারা। পাবলাখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সজীব মজুমদার বলেন, বুনো হাতিটি হয়তো খাবারের সন্ধানে অন্য পালের সাথে ঘুরতে গিয়ে দলছুট হয়ে লোকালয়ে এসেছে কিন্তু পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পাহাড়ের কাছাকাছি লোকালয় থাকলে এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তবে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া এভাবে হাতি বনে ফেরানো অস্বাভাবিক। কিন্তু আজকে দলছুট হাতিটিকে বিনা ক্ষতিতে নির্দিষ্ট আবাসে ফেরানো হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে শ্রম দেয়া এলিফেন্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি), স্থানীয় বিজিবি, বনকর্মীসহ স্থানীয় জনগণের প্রচেষ্টায়।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.