অনুর্ধ্ব ১৬ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে স্থান পেলেন উল্লাপাড়ার আমেনা
রায়হান আলী, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মেয়ে আমেনা খাতুন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অনুর্ধ্ব ১৬ মহিলা ফুটবল ট্যালেন্ট হান্ট এ সুযোগ পেয়েছে। সে উল্লাপাড়া উপজেলার মনোহরা গ্রামের ভ্যানচালক সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
মনোহরা দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী আমেনা। ছোট বেলা থেকেই আমেনার ফুটবল খেলার প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল। একসময়ে জাতীয় দলের খেলার স্বপ্ন লালন করতো সে। অবশেষে সে স্বপ্ন পূরণ হলো তার। গেল সপ্তাহে বাফুফে কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত নির্বাচিত খেলোয়াদের তালিকায় আমেনা খাতুনের ক্রমিক নম্বর ২৫।
আমেনা খাতুন জানায়, উল্লাপাড়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন ২০২২ সালে প্রথম উল্লাপাড়ায় মহিলা ফুটবল খেলোয়াদের প্রশিক্ষণ প্রদানের আয়োজন করেন। আমেনা এই প্রশিক্ষণ শিবিরের ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর একজন হিসেবে উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ মাঠে ৭ মাস ব্যাপী অনুশীলন করে ফুটবল খেলার নানা কৌশল আয়ত্ত করে। অবশেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের উদ্যোগে অনুর্ধ্ব ১৬ মহিলা ফুটবল ট্যালেন্ট হান্টের বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে সে তার আবাল্যের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। আমেনা এ কাজে সহযোগিতার জন্য তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আমেনা খাতুনের বাবা সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলেন, উল্লাপাড়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তার মেয়েটি আজ তাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। অভাব অনটনের সংসারে মেয়েকে ভালো খাবার বা পোশাক দিতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছে আমেনা। তাকে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ফটুবল ফেডারেশনের ঢাকাস্থ প্রশিক্ষণ শিবিরে রেখে এসেছি। মেয়ের জন্য এখন সে গর্বিত।
উল্লাপাড়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক জাহিদুজ্জামান কাকন জানান, তার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত মহিলাদের ফুটবল প্রশিক্ষণের মূল উদ্যোক্তা ইউএনও মোঃ উজ্জল হোসেন। আমেনা এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করেছে। আগামীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশে এবং বিদেশে ফুটবল খেলায় অংশ নিয়ে আমেনা উল্লাপাড়াবাসীর জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়াবে বলে তার প্রত্যাশা।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।