বৃহস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

যাত্রাবাড়ীতে অন্তঃসত্ত্বাকে ছুরিকাঘাত, গর্ভের সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু

সংবাদের আলো ডেস্ক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি বাসায় ছুরিকাঘাতে আহত সীমা আক্তার (২২) ও গর্ভে থাকা তার সাত মাসের সন্তান মারা গেছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সীমা ।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী শহিদ জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে নিহতের বাবার বাসায় ঘটনাটি ঘটে।

মৃত সীমার ভাই মো. নাসির বলেন, সীমা তার স্বামী জুয়য়েলকে নিয়ে শহীদ জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে আমাদের বাসার কাছাকাছি একটি বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতো। সীমার আবির (৪) নামে আরো একটি সন্তান রয়েছে। জুয়েল যাত্রাবাড়ী মোড়ে ফলের ব্যবসা করে। মাঝেই মাঝেই আমাদের বাসায় আসতো। ঘটনার সময় সীমা আমাদের বাসায় ছিল।

তিনি আরও বলেন, গত রাতে এক যুবক ছুরি হাতে তাদের বাসার প্রবেশ করে। সে সময় সীমা ও তার চার বছরের সন্তান বাসায় ছিল। ওই যুবক কিছু না বলেই ছুরি নিয়ে সীমার দিকে তেড়ে যায়। তখন সীমা বলে আমাকে মারবেন না আমার পেটে সন্তান আছে। সীমার কথায় কর্ণপাত করেই পেটে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে ওই যুবককে চিনতে পারেনি সীমা। সীমা মৃত্যুর আগে এসব কথা আমাদের জানিয়েছে।

পরে সংবাদ পেয়ে রাতেই সীমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সীমাকে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। সীমার ছেলে সন্তান হয়, তবে বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তখন চিকিৎসকরা নবজাতকটিকে আইসিইউতে নিতে বলে। এর কিছুক্ষণ পরেই নবজাতকটি মারা যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজকে মারা যায় সীমা।

সীমার স্বামী মো. জুয়েল বলেন, আমাদের কোনো শত্রু নেই। কেন আমার স্ত্রী সন্তানকে মেরে ফেলল। আমার স্ত্রী বারবার বলছে তার পেটে বাচ্চা আছে মেরো না। তবুও আমার স্ত্রীকে ছাড়েনি। আমি এর বিচার চাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে ছুরিকাঘাতে আহত এক অন্তঃসত্ত্বাকে ভর্তি করে স্বজনরা। রাতেই সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি করা হয় তবে শিশুটি মারা যায়। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেলে মারা যায় নবজাতকের মা সীমা আক্তার। তার পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়