বৃহস্পতিবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ভূঞাপুর লোকমান ফকির কলেজের অধ্যক্ষকে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সদরের লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাসান আলীকে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) এবং একই সাথে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অনিয়মের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজের উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত রোববার (৩১ ডিসেম্বর) কলেজের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অধ্যক্ষ মো. হাসান আলীকে ওই কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) ও ৬ মাসের ছুটির আদেশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কলেজের সভাপতির কাছে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। গত শনিবার(৩০ ডিসেম্বর) কলেজের গর্ভনিং বডির এক সভায় ২নং সিদ্ধান্ত মোতাবকে অধ্যক্ষ মো. হাসান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

অনিয়মের মধ্যে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত ফি বহির্ভুত অর্থ আদায়, গেল বছরের আগস্টের রেজুলেশন মোতাবেক কলেজের ৬টি মেহগনি এবং ১টি আকাশমনি গাছ কেটে কলেজে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. হাসান আলী সেই গাছগুলো এক লাখ ৪৫ হাজার টাকায় অন্যত্র বিক্রি করে মাত্র ৪৫ হাজার টাকা কলেজের তাহবিলে জমা দেন এবং বাকি টাকা আত্মসাত করেন।

যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরির শর্তাবলী রেজুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯ এর ১৭ ধারায় অথবা নৈতিক স্খলন বিষয়ক ৫, ৬ ও ৭ এর আওয়াভুক্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব বিষয়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থ নেওয়া হবে না নোটিশে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বিনা ছুটিতে কলেজের কোন শিক্ষককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর তিনি ভারত ভ্রমণে যান। পরবর্তীতে তিনি গত ২৭ ডিসেম্বর কলেজে যোগদান করেন। এসব ঘটনায় ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগে বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাছান আলী জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। এছাড়া চাকুরিবিধিতে বাধ্যতামূলক ছুটি বলতে কিছু নেই। একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ ও ছুটির চিঠি তিনি পেয়েছেন। নোটিশে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল জানান, অধ্যক্ষ হাছান আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় অধ্যক্ষকে ৬ মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে অধ্যক্ষকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়