বৃহস্পতিবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পঞ্চগড়ে শ্রেষ্ঠ বাংলাবান্ধা সর: প্রাথমিক বিদ্যালয়

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: দেশের সব চেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়৷ এ জেলার সবচেয়ে প্রত্যন্ত এলাকা বাংলাবান্ধা। এ বাংলাবান্ধা থেকে মানচিত্রে সূচনা ও দেশের সীমানা শুরু। আবার এই বাংলাবান্ধাকে বলা হয় দেশের সর্বশেষ স্থান৷ তবে দেশের সীমান্তঘেষা এই এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক- ২৪ এ পঞ্চগড়ে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে বাংলাবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪’ প্রদানে জেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটির সভাপতি, জেলা প্রশাসক সাবেত আলী ও সদস্য সচিব ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমেশ চন্দ্র মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।এদিকে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হওয়ায় বিদ্যালয়ে ও এলাকার মধ্যে চলছে আনন্দের জোয়ার।

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নিয়মাবর্তিতা,ডিজিটাল ক্লাসরুম, মানসম্মত ফলাফল, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের হার কমানো, আধুনিক সুবিধাসহ নানা বিষয়ে বিদ্যালয়টি শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এছাড়াও খবর নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে ওই বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৫০ জন, প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৯ টি ক্লাস রয়েছে। সর্বশেষ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-০৫ পেয়েছে ৭ জন ও জিএসসিতে পাশের হার ছিল ৯৫.৪%, সর্বশেষ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৫ জন বৃত্তি পায়৷ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় রয়েছে বিদ্যালয়টির অনেক কৃতিত্ব। গত ৫১তম শীতকালীন খেলায় জেলা পর্যায় রানারআপ হয় বিদ্যালয়ের বালিকা ক্রিকেট দল। দুদক কতৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায় হয় রানারআপ,সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায় হয় চ্যাম্পিয়ন হয়।

এবিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের অবিভাবক ইউসুফ আলী বলেন,বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান অনেক ভাল হওয়ায় আমরা এই বিদ্যায়লে ছেলে মেয়েদের ভর্তি করেয়েছি৷ বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ বিভিন্ন অর্জন রয়েছে। জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় আমরা অনেক আনন্দিত৷

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা পারভীন বলেন, বিদ্যালয়ে যখন শিক্ষার্থীরা আসেন তখন আমরাই বাবা -মা। আমরা শিক্ষকরা চেষ্টা করি পরম যেন ভালোবাসা দিয়ে পাঠদান করাতে। আমাদের বিদ্যালয়ের অভিভাবকরাও অনেক সচেতন। সকলের প্রচেষ্টায় আমাদের এই অর্জন।

এবিষয়ে বাংলাবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তালেব হোসেন নয়ন বলেন, বিদ্যালয়টিকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হওয়ার কৃতিত্ব শুধুমাত্র আমার একার নয়। এই কৃতিত্ব বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের। দেশের একেবারে শেষ প্রান্তের বিদ্যালয় এটি। শেষ প্রান্তে অবস্থান করেও আমরা চেষ্টা করেছি সেরা টুকু দেয়ার। বিদ্যালয়ের এই অর্জন ও সুনাম যেন ধরে রাখতে পারি তার জন্য আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে যাচাই-বাছাই করে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। বিদ্যালয়টি তার কৃতিত্ব ও অর্জন আগামীতেও ধরে রাখবে এই প্রত্যাশা করি৷ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক,প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাও নির্বাচিত হয়েছে। তাদের জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়