পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামল ১০ ডিগ্রিতে
সংবাদের আলো ডেস্ক: হিমালয় পর্বতমালার নিকটবর্তী হওয়ায় পঞ্চগড়ে প্রতিবছরই শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। মৌসুম জুড়ে প্রায় দিনই তাপমাত্রার পারদ থাকে দেশের সর্বনিম্ন। এ বছরও কমতে শুরু করেছে তামপাত্রা। নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রির ঘরে।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, শনিবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষ আর মাঘ মাসে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে এখানে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।এদিকে তাপমাত্রার পারদ কমে আসলেও দ্রুতই দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের। শীত উপেক্ষা করেই দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলো ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে। তবে গত কিছুদিন ধরেই সন্ধ্যার পর হিমেল বাতাসে কাবু করছে এখানকার মানুষকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতাও বাড়ে। সকাল অবধি থাকে ঘনকুয়াশাও।স্থায়ীরা জানান বলেন, পৌষ মাস না পরতেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূত। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে।
এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।