শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উজানের ঢলে সিলেটে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

সংবাদের আলো ডেস্ক: উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুরমা, কুশিয়ারাসহ সব নদনদীর পানিই বাড়ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ ও সারিগোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও সিলেটে টানা বৃষ্টিপাতে এ বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সিলেটের চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বন্যার পানি উঠে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যায় গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।’ জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি এলাকায় টানা ভারী বর্ষণ হচ্ছে। গেল দুই দিনে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এলাকায় প্রায় ১ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের আবহাওয়া অধিদফতর। উজানে বৃষ্টিপাতের পানি সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা, ধলাই ও পিয়াইন নদী হয়ে নেমে আসে সিলেটে। ফলে সীমান্তবর্তী চার উপজেলায় বন্যা দেখ দেয়।

এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট লামাপড়া, বন্দরহাটি, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, বড়খেলা, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ফুলবাড়ী, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, ডিবির হাওড়, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওড়, খারুবিল, লমানীগ্রাম, কাটাখাল, বাউরভাগ ও বাওন হাওড়সহ নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া প্লাবিত হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন জানান, আশ্রয় কেন্দ্রে পানিবন্দি লোকজন উঠতে শুরু করেছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----